‘মোদী হঠাও’ ছাড়া আর কোনও অ্যাজেন্ডাই নেই বিরোধীদের, কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর


নয়াদিল্লি: বিরোধীদের কাছে 'মোদী হঠাও' ছাড়া আর কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। তাদের মহাজোট আদতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার 'মহাদৌড়' ছাড়া কিছুই নয়। এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

একটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মোদী জানান, বিরোধীদের বেঁধে রেখেছে একটা বস্তু। তা হল 'মোদীর প্রতি ঘৃনা'। তাঁর বিশ্বাস, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মানুষ ফের একবার বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবে।

কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, প্রধান বিরোধী দল এখন 'অস্তিত্বের লড়াই' চালাচ্ছে। মানুষ কংগ্রেসের 'দমননীতি' প্রত্যাখ্যান করেছে।  তাই তারা এখন শরিক খোঁজার কাজে দরজায় দরজায় কড়া নাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কংগ্রেস এখন আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। ফলে, বিরোধী জোটের মূল শক্তি হওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বাধীন দল। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সুশাসন ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে অরাজকতার লড়াই হিসেবে উল্লেখ করেন মোদী।

এদিন মোদী স্মরণ করিয়ে দেন, কীভাবে কর্নাটকে মানুষের রায়কে পিছনের সারিতে রেখে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। বলেন, যে কোনও নির্বাচনে নীতিহীন ও সুবিধাবাদী জোট হল অরাজকতা সৃষ্টির সেরা মাধ্যম। তাঁর মতে, কর্নাটকে যা হয়েছে, তা স্রেফ ট্রেলার মাত্র।

মোদী জানান, বিজেপি ভোটে লড়াই করে উন্নয়ন ও সুশাসনের ভিত্তিতে। আর তা দিয়ে সাম্প্রতীক অতীতে যা ফল হয়েছে, তা ঐতিহাসিক। বলেন, আমার বিশ্বাস মানুষ তাঁদের আস্থা পুনরায় আমাদের ওপর বহাল রাখবেন। মোদী হঠাও ছাড়া ওদের (বিরোধী) কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। মোদীর প্রতি ঘৃনাই তাদের একত্রিত করে রেখেছে।

অতীতের মহাজোটের সঙ্গে এই মহাজোটের তুলনা টানতে অস্বীকার করেন মোদী। বলেন, ১৯৭৭ ও ১৯৮৯ সালে বিরোধীরা একজোট হয়েছিল যথাক্রমে জরুরি অবস্থা ও বোফর্সকাণ্ডের জেরে। সেই সময় গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে সকলে একত্রিত হয়েছিল। কিন্তু, এই (বিরোধী) জোট ব্যক্তিগত স্বার্থ ও ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য করা হয়।

রাজনীতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়েও মুখ খুলেছেন মোদী। জানিয়ে দেন, তিনি কোনও শাহেনশাহ বা উদ্ধত নেতা নন। বলেন, মানুষের মধ্যে থাকাটাই আমার পছন্দ। মানুষের থেকে শক্তি পাই। যদি দেখি মানুষ আমাকে স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তখন আমি গাড়ির মধ্যে বসে থাকতে পারব না।