কিশোরীকে ‘গণধর্ষণ’ পাড়ুইয়ে, ধৃত ৫


খোঁজ মিলছিল না বছর ষোলোর কিশোরীর। আত্মীয়দের থেকে সে খবর পেয়ে ঘণ্টা দেড়েক পরে বীরভূমের পাড়ুইয়ের বাড়ি লাগোয়া কাঁদরের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার ওই ঘটনার পরে কিশোরীর পরিবার পুলিশের কাছে শনিবার লিখিত অভিযোগ করেছে, সাইকেলে চেপে বাড়ি ফেরার সময় পরিচিত আট যুবক কাঁদরের কাছেই মেয়েটিকে গণধর্ষণ করেছে। বোলপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরীও সংবাদমাধ্যমের কাছে এই দাবি করেছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, কিশোরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এ দিন তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে গণধর্ষণের বিষয়টি তাদের কাছে স্পষ্ট হয়নি।

বীরভূমের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, ''শনিবার রাতে পরিবার লিখিত অভিযোগ করে। তার ভিত্তিতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঠিক কী হয়েছে জানতে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'' অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, অন্য কোনও আক্রোশ থেকে তাদের ফাঁসানো হয়েছে। সে কারণে ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পরে লিখিত অভিযোগ করা হয়। তবে 'অন্য কারণ'টি ঠিক কী, তা খোলসা করেননি তাঁরা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, কিশোরীর বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বাড়িতে রয়েছেন কেবল মেয়েটির দাদু। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি মুখ খোলেননি। পড়শিরাও তাই।

নির্যাতিতা থেকে অভিযুক্ত—সকলেই আদিবাসী জনজাতির। এ প্রসঙ্গে আদিবাসী গাঁওতার নেতা রবিন সরেন বলেন, ''ঠিক কী হয়েছে, তা আমাদের কাছেও পরিষ্কার নয়। পুলিশ তদন্ত করে সত্যিটা বার করুক। সেটাই চাইব।''