১.২ কোটি টাকার বিনিময়ে গুগলে কাজ করার ছাড়পত্র পেয়ে গেলে ২২ বছরের এই তরুণ


পেশাদারিত্বে আর পিছিয়ে নেই ভারত। যতদিন যাচ্ছে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে যে মেধার জোরে আন্তর্জাতিক স্তরে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় স্টুডেন্টরা তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ রাখলেন না বাইশ বছর বয়সী আদিত্য পালিয়াল। এতদিনে পেশায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এবার নিজের জায়গা করেনিলেন গুগলের মতো কোম্পানিতে। শুধু তাই নয় ১.২ কোটি টাকা বার্ষিক প্যাকেজের বিনিময়ে আগামী ১৬ তারিখ দিয়েই গুগল জয়েন করছেন ব্যাঙ্গালোরের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফেরমেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র আদিত্য।

গত রবিবারই গুগলের পক্ষ থেকে আয়োজন এক আহবান সভার আয়োজন করা হয়েছিলো। যেখানে আদিত্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক স্তরের বহু ছাত্রছাত্রী। আর সভা শেষেই গুগলে কাজ করার ছাড়পত্র হাতে পান আদিত্য। আগামী ১৬ জুলাই থেকে গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স রিসার্চ উইংয়ের একজন সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করবেন তিনি।

ছোটোবেলা থেকেই প্রোগামিং এর উপর বিশেষ ন্যাক ছিলো তার। মুম্বাইয়ের বাসিন্দা আদিত্য সর্বপ্রথম প্রচারে আসেন মোট ৬,০০০ ক্যান্ডিডেট অংসগ্রহণকারী গুগল আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স টেকনোলোজি পরিচালিত গুগল টেস্টে পঞ্চাশ জনের মধ্যে নির্বাচন পেয়ে। তারপরও অবশ্য থেমে থাকেনি আদিত্য টিমমেট সিমরান দোজনিয়া এবং শ্যাম কে বি 'কে নিয়ে পরিশ্রম এবং মেধার জোরে ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে যায় তিনি। কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ এবং কোডিং এর উপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বব্যাপী সব থেকে বড়ো প্রতিযোগিতা এটি।

আর এই প্রতিযোগিতা দিয়েই গুগলে চাকরির ছাড়পত্র হাতে পেয়ে আনন্দে মশগুল আদিত্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিয়েছেন তার উছ্বাস। তিনি বলেছেন যে, "তিনি মার্চ মাসেই গুগলের এই অফার পেয়ে যান, তিনি এর জন্যই বহুদিন অপেক্ষা করেছিলেন আর তার এই লার্নিং পিরিয়ডে তিনি প্রচুর নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন।"

এছাড়াও তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তার মাননীয় শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন আদিত্য তার পাশে থেকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। এছাড়াও তিনি স্বীকার করেছেন যে তার এই সাফল্যের পিছনে তার পরিবারেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে।