মমতার ছবিযুক্ত পতাকায় পা দিয়ে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতা! মুহূর্তে ভাইরাল, অভিযোগ দায়ের


তৃণমূলের পতাকায় পা দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন খোদ দলেরই এক পদাধিকারী। একুশে জুলাইয়ের সভায় আসার পথে পুরুলিয়ার ঝালদা স্টেশনে তোলা ছবিতে বিপাকে পড়ছেন ঝালদা ব্লক তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমীর মাহাতো। এই ছবিতে দেখা যায় ঝালদা ব্লক চেয়ারম্যান স্বয়ং দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলের পতাকার উপর। মুহূর্তেই এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

একুশে জুলাই কলকাতার ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় আসার জন্য ঝালদা ব্লকের টিম নিয়ে বেরিয়েছিলেন সমীর মাহাতো। ঝালদা স্টেশনে তাঁরা ট্রেনে ওঠার আগে ছবি তোলেন। সেই ছবিতে দেখা যায় সমীর মাহাতো তৃণমূলের দলীয় পতাকার উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই সমীর মাহাতো ঝালদা থানায় এফআইআর দায়ের করেন।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই দলীয় কর্মীরা কটূক্তি শুরু করেন। বিরোধীরা এই ছবি দিয়ে কটাক্ষ করতে থাকেন। তৃণমূল কর্মীরা দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কাছে মায়ের সমান। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের কাছে মন্দির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আর লোগো সম্বলিত এই পতাকার উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে ওই নেতা গর্হিত অপরাধ করেছেন। তাঁর যথাযোগ্য শাস্তি দিতে হবে। এই দাবিতে সরব হন বিভিন্ন মহলের পার্টিকর্মীরা।

সমীর মাহাতোর সমর্থনেও অনেকে গলা ফাটান। এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে অনেকে অভিযোগ করেন। তৃণমূলকে হেয় করতেই এই কাজ করা হয়েছে। সমীর মাহাতোকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে। সমীর মাহাতো নিজেও জানান, ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে তা সত্যি নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও দলের পতাকার উপর পা দেওয়ার কথা আমি ভাবতেই পারি না। সেই দুঃসাহস আমার নেই। আমাকে এবং আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে।

তিনি ঝালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেছেন, এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে, যাঁরা ছবিকে বিকৃত করে তৃণমূলকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছে, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি উর্ধ্বতন নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। দলও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে।

সমীর মাহাতোর পাশে দাঁড়িয়ে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে জানানো হয়েছে, ছবিটি বিকৃত করা হয়েছে। এবং স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ছবিটি সুপারইম্পোজ করা। সমীরবাবু তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘদিন রয়েছেন, তিনি একাজ করতে পারেন না। তৃণমূলকে অসম্মান করতেই এই কাণ্ড করা হয়েছে। আমরা এর পূর্ণ তদন্ত দাবি করছি।