জানেন কি, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বদলায় ঋতুস্রাব?


মাসের ওই ক'টা দিন প্রত্যেক মেয়ের কাছে সত্যিই যমযন্ত্রণার| কারোর সমস্যা অতিরিক্ত স্রাব| কারোর মারাত্মক পেটে ব্যথা| এমন কষ্টের দিন কে যাপন করতে চায়? যদিও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নাকি বদল ঘটে ঋতুস্রাবের| ধীরে ধীরে কমতে থাকে পিরিয়ড শুরুর সমস্যাও| কীভাবে আসে সেই পরিবর্তন? জেনে নিন সেটাই—

স্রাবের শুরু থেকে বয়স যখন ২০: শুরু থেকে এই বয়স পর্যন্ত ঋতুস্রাব ভীষণ অনিয়মিত থাকে| প্রায়ই বদলায় ঋতুচক্র| সঙ্গে প্রচন্ড ব্যথা যুক্ত অতিরিক্ত স্রাব| এছাড়াও থাকে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও| যেমন, স্তনবৃন্তে ব্যথা, তলপেটে টান, পায়ে-কোমরে ব্যথা হয় অনেকেরই| হরমোনের পরিবর্তনের জন্যই এই সমস্যা দেখা দেয়| ডাক্তারবাবুদের মতে, এই সময় ব্যথার ওষুধ না খাওয়াই ভালো| বদলে পেটে-কোমরে-তলপেটে হট ব্যাগের সেঁক দেওয়া যেতে পারে| ব্যথা একান্তই অসহ্য হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ নেবেন|

৩০ মানেই নিয়মিত ঋতুস্রাব: যাঁরা শুরু থেকে স্রাবের সমস্যায় নাজেহাল তাঁদের জন্য খুশির খবর| ডাক্তারবাবু জানাচ্ছেন, এই সময় থেকে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে থাকে ঋতুস্রাব| অতিরিক্ত স্রাবও কমতে থাকে| মেয়েরা এই বয়সে মা হন| যাঁদের নর্মাল ডেলিভারি হয় তাঁদের সার্ভাইক্যাল প্রসারের জন্য স্রাব স্বাভাবিক হয়| ব্যথা কমে| এছাড়া, স্তন্যদানের জন্যও কিছুটা স্বাভাবিক হয় স্রাব|

৪০ মানেই মেনোপজের দিকে এগিয়ে যাওয়া: তার মানেই কি ফুরিয়ে যাওয়ার সময়? একেবারেই না| শুধু দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ার পথে এগোয় এই বয়সে| তাই শেষের আগে আরও একবার ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়| তবে এই বয়সেও সন্তান ধারণের সম্ভাবনা রয়েই যায় ক্ষীণভাবে| এছাড়া, প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রম তো রয়েইছে| ঘন ঘন মুড বদলানো, রাতে ঘাম হওয়া, আচমকা খুব গরম লাগা—এসবই মেনোপজের লক্ষণ|

ঋতুস্রাবের সময় কী মানবেন, মানবেন না—

ব্যথা কমাতে মুঠো মুঠো ব্যথার ওষুধ গিলবেন না| বদলে গরম জলের সেঁক নিন| হালকা গরম জলে স্নানও সারতে পারেন এই ক'টা দিন|

ঘরোয়া, কাপড়ের ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন না| এটি খুব স্বাস্থ্যকর নয়|

ন্যাপকিন ভিজে গেলেই বদলান| অনেকে সারাদিন একটাই ন্যাপকিন ব্যবহার করেন| এতে কিন্তু সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়|

ঋতুস্রাবের সময়েও ইউরিনের পর ভ্যাজাইনা ধুয়ে নেবেন ভালো করে|

বেশি স্রাবের সময় ভারী কিছু বহন করা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো|