মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসানো হল ইঞ্জিনিয়ারকে


বন্ধুর সঙ্গে বাইকে চেপে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন বছর ত্রিশের ইঞ্জিনিয়ার দুর্গা শরণ। বাড়ি ফেরার পথেই তাঁকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। সে রাতেই রাঘোপুরে কামেশ্বর সিংয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে অরবিন্দ রাইয়ের মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাঁর বিয়ে করানো হয় বলে অভিযোগ। ওই ইঞ্জিনিয়ারের মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে মেয়ের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। 

পুলিশের কাছে দুর্গা শরণ জানিয়েছেন, বন্ধু সৌরভের সঙ্গে শনিবার বিকেলে বাইকে চেপে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। সন্ধে বেলা বাড়িতে ফেরার সময় বৈশালীর বিদুপুর অঞ্চলে হঠাত্‍ই একটি SUV তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে ৫-৬ জন সশস্ত্র লোক নেমে তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় রাঘোপুরে। সেখানে বিয়ের মঞ্চ পর্যন্ত তৈরি ছিল। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে বিয়ের পিড়িতে বসানো হয়। সে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। ঘটনায় মেয়ের বাবা-সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। 
 অন্য দিকে, প্রিয়াঙ্কাও পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে জানিয়েছে, গত এক বছর ধরে দুর্গা শরণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য প্রচুর পণ দাবি করেছিলেন তিনি। যখন বোঝা যায়, পণ দেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের নেই, তখন সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ায় দুর্গা। গত কয়েক মাস ধরে প্রিয়াঙ্কার ফোনও ধরছিলেন না তিনি। যদিও এই অভিযোগকে সম্পর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন দুর্গা।