হাওড়ামুখী রাজধানীতে বোমা আছে বলে খবর, যাত্রী নামিয়ে তল্লাশি


রাজধানী এক্সপ্রেস।

দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসে বোমাতঙ্ক। শনিবার বিকেলে  দিল্লি থেকে ছাড়ার পর রেল পুলিশের কাছে  ৫.২১ মিনিট নাগাদ ফোনে খবর আসে রাজধানী এক্সপ্রেসে বোমা রাখা রয়েছে। সময় নষ্ট না করে গাজিয়াবাদের কাছে ট্রেনটিকে থামানো হয়। শুরু হয় তল্লাশি।
এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। দু'ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বম্ব স্কোয়াড, পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানোর পরেও ট্রেনে কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। তার পর অবশ্য সাতটা পাঁচ মিনিট নাগাদ গাজিয়াবাদ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয় রাজধানী এক্সপ্রেস।

অন্য ট্রেনগুলির তুলনায় কামরার সংখ্যা রাজধানী এক্সপ্রেসে বেশি বলে প্রতিটি কামরার যাত্রীদের নামিয়ে তল্লাশি চালাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ওই সময়ে ওই পথে আসা অন্য ট্রেনগুলিও দাঁড়িয়ে পড়ে। রেল কর্তৃপক্ষ প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, যেখান থেকে ফোনটি করা হয়েছিল, তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। ওই জায়গার মালিককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিউদিল্লি জিআরপি থানার পুলিশ। 

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বোমাতঙ্কের খবর ভুয়ো ছিল। কিছু পাওয়া যায়নি। এর আগেও বেশ কয়েক বার রাজধানী এক্সপ্রেসে বোমাতঙ্কের খবর রটেছিল।

রেল সূত্রের খবর, এ দিনের বোমাতঙ্কের বিষয়টিকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না তারা। আপাতত ফোন কলের সূত্রে ধরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। বেশ কিছু প্রথম শ্রেণির ট্রেন ও সারা দেশে ২০২টি বড় স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ চিন্তিত। তাই রাজধানীর মতো ট্রেন এবং স্টেশনগুলিতে সিসি ক্যামেরা ছাড়াও লাগেজ স্ক্যানার-সহ বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে রেল।