১৫ বছর বয়সেই পিএইচডি করছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোর


১৫ বছর বয়সেই পিএইচডি-র দোরগোড়ায়। চমকে উঠলেও সত্যি ঘটনা। স্কুল ও কলেজের পড়াশোনার পাট চুকিয়ে এখন ডক্টরেটের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিস্ময় কিশোর। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোর তানিষ্ক আব্রাহাম। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবার বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর এবার পিএইচডি শুরু করতে চলেছে তানিষ্ক। তার এহেন কৃতিত্বে যখন গোটা বিশ্ব হতবাক তখন খুশি পরিবারের সদস্যরা।

বিস্ময় বালকের মা তাজি আব্রাহাম একজন ডক্টরেট পশু চিকিৎসক। দাদু দিদাও এখন অবসর নিলেও তাঁরা দু'জনেই পশু চিকিৎসক। বাবা বিজৌ আব্রাহাম একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। আদতে কেরালার বাসিন্দা আব্রাহাম পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন মুলুকে বসবাস করছে। সেই পরিবারের ছেলে তানিষ্ক ছোট থেকে প্রতিভাবান। ছেলে যে এমন প্রতিভার আধার মা তাজি তা টের পেয়ে যান বছর দশেক আগেই। নার্সারিতে পড়ার সময়ই উঁচু ক্লাসের অঙ্ক মুহূর্তেই সমাধান করে দিত তানিষ্ক। এই দেখে অভিভাবকরা তাকে অনলাইনে কলেজে পড়ার সুযোগ করে দেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ক্যালকুলাসের কঠিন অঙ্কের সহজেই সমাধান করে ফেলে সে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাতবছর বয়সেই তিনটি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে ভরতি হয়ে যায় কলেজের পড়াশোনা শেষ হলে পরের গন্তব্য ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেও জয়জয়কার। বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনার পাট টুকিয়ে এবার পিএইচডি করবে তানিষ্ক। সেই সঙ্গে চলবে গবেষণার কাজও ক্যানসারের মত মারণ রোগকে কাবু করতে চায় এই বিস্ময় কিশোর। শুধু ক্যানসার সারিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলাই নয়, একই সঙ্গে ক্যানসার প্রতিরোধের উপায় মানুষের হাতের মুঠোয় আসুক এমনটাই ইচ্ছে তানিষ্কের। ছেলের এহেন ইচ্ছেতে কোনওরকম বাধা পড়ুক চান না বাবা-মা। সর্বদা উৎসাহ দেওয়ার পাশপাশি কোনওরকম সমস্যা আসলেও তা মোকাবিলা করতে তৈরি বিস্ময় বালকের পরিজন। ইতিমধ্যেই এক অভিনব যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছে সে। সেই যন্ত্র অগ্নিদগ্ধ রোগীর শরীরের সংস্পর্শে না এসেই হৃদযন্ত্রের গতিবিধি মাপতে পারে। ইতিমধ্যেই তানিষ্কের উদ্ভাবনী ক্ষমতা সাড়া ফেলেছে বিজ্ঞানী মহলে। আশার আলো দেখছেন অভিভাবকরা।

Highlights

তিনটি কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছে তানিষ্ক।

ক্যানসারকে নির্মূল করার স্বপ্ন দেখছে এই বিস্ময় কিশোর।