সামনে পড়ে স্ত্রী’র মৃতদেহ, ১০ দিন ধরে বিছানায় শুয়ে নীরব দর্শক স্বামী


১০ দিন ধরে এভাবেই দেহ পরে থাকার পরে পচন ধরে যায় গিরিজার দেহে। মর্মান্তিক ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও।

অসহায় স্বামী কিছুই করতে পারলেন না। প্রতীকী চিত্র—শাটারস্টক
১০ দিন ধরে সামনে পচছে স্ত্রী'র দেহ। বিছানায় শুয়ে তা দেখছেন অসহায় স্বামী। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল কর্ণাটক।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক দিন আগে কর্ণাটকের উত্তর কান্নাডা জেলার কারওয়ার শহরের বাসিন্দা গিরিজা কুলকার নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। এর পরেই বিপাকে পড়েন গিরিজার স্বামী আনন্দ কুলকার (৬০)। জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন আনন্দ কুলকার। তাঁর সামনেই স্ত্রী'র দেহ পড়ে থাকে।

প্রায় ১০ দিন ধরে এভাবেই দেহ পরে থাকার পরে পচন ধরে যায় গিরিজার দেহে। এর পরেই তাদের বাড়ি আসে গিরিজার ভাই সুব্রক্ষ্মন্য মাদিভালা। গিরিজার বাড়িতে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁর। তিনি দেখেন, গিরিজার দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। আর খাটে শুয়ে রয়েছে আনন্দ। এত দিন ধরে না খেতে পেয়ে অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন আনন্দ।

এর পরেই পুলিশে খবর দেন গিরিজার ভাই। গিরিজার দেহ উদ্ধার করে শেষকৃত্যের জন্য পাঠানো হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আনন্দকে। কিন্তু সোমবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।।

মাদিভালা জানান, তাঁর দিদি গিরিজার সঙ্গে প্রায়ই মাঝেমধ্যে কথা হত তাঁর। তবে কয়েকদিন ধরে কথাবার্তা বন্ধ হওয়ায় তাঁর সন্দেহ হয়। এর পরেই গিরিজার বাড়ি গিয়ে এই মর্মান্তিক দৃশ্যে দেখতে পান তিনি।

আপাত ভাবে মনে করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে গিরিজার। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও।