ধর্ষক বাবাকে খুন, ১২ বছর পরে কবুল মেয়ের


বাবার বাড়ির বাগানে কাজ করতে করতে আচমকাই লাগোয়া ঘরে ঢুকেছিলেন বছর একান্নর বারবারা কুম্বস। চোখে পড়ে একটি বাক্স। সেটি খুলেই চমকে যান তিনি। তাতে ছিল ছোট বাচ্চাদের পর্নোগ্রাফিক ছবি। এমনকি তাঁর নিজের ছোটবেলারও আপত্তিকর কিছু ছবি! নিজের ছবি দেখেই সামনে ভেসে ওঠে তাঁর ছোটবেলাটা। কী ভাবে দিনের পর দিন বাবার হাতে নিগ্রহের শিকার হতেন তিনি। কী ভাবে তাঁকে 'যৌনদাসী' করে রেখে ধর্ষণ করে গিয়েছেন তাঁর বাবা। এমনকি বাবার হাতে ধর্ষিতা হয়ে প্রথম সন্তানের জন্মও দিয়েছিলেন। অবশ্য জন্মের কিছু পরেই মারা যায় সেই সন্তান। সময় গড়ায়। কিন্তু বাবার হাত থেকে রেহাই মেলেনি। ভাবতে ভাবতে আচমকাই প্রচণ্ড রাগ ও ঘৃণায় বাগানে পড়ে থাকা বেলচা তুলে নিয়ে বাবার মাথায় মারেন। মৃত্যু হয়
৮৭ বছর বয়সি কেনেথ কুম্বসের। কোনও চিত্রনাট্য নয়। ম্যাঞ্চেস্টারের কাছে এক শহরতলির ঘটনা!

এর প্রায় ১২ বছর পরে আদালতে দাঁড়িয়ে এক নিঃশ্বাসে ঘটনার কথা বলে চলেন বারবারা। বাবাকে মেরে তাঁর দেহ বাগানের মধ্যেই লুকিয়ে রেখেছিলেন। সকলকে বলেছিলেন, কেনেথ হৃদ্‌রোগেই মারা গিয়েছেন। হাসপাতালই তাঁর অন্ত্যেষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি কেনেথকে তাঁর বাড়িতে দেখতে যাওয়ার কথা জানান হাউসিং অ্যাসোসিয়েশনের অফিসার। তার আগের দিনই থানায় গিয়ে বারবারা খুনের কথা স্বীকার করেন। বারবারার মানসিক পরীক্ষার রিপোর্ট বলছে, দীর্ঘ মানসিক যন্ত্রণা ও মারাত্মক মানসিক চাপ থেকেই এই কাজ করেছেন তিনি।