দেশ জুড়ে মাদক ছড়াচ্ছে নাইজেরীয়রা


সারা দেশজুড়ে মারাত্মক বিদেশি মাদক পাচারের পিছনে রয়েছে এক ডজন নাইজেরীয়। সাও পাওলো থেকে মাদক নিয়ে এসে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এই আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের আসল মাথা রয়েছে মুম্বইয়ে। আফ্রিকার কয়েকটি জায়গা, নাইজেরিয়া, ব্রাজিল ও লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ থেকে কোকেন ও এলএসডি-র মতো মারাত্মক মাদক পাচার হয়ে আসে মূলত মুম্বইয়ে। সেখান থেকে কলকাতা-সহ দেশের বড় শহরগুলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মাদক।

গত চার বছর ধরে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, পুণে, নাসিক, হায়দরাবাদ-সহ দেশের বড় শহরগুলিতে মাদক পাচারের দায়িত্ব নিয়েছিল নাইজেরীয় মহিলা মাদক পাচারকারী ডেভিড ব্লেসিং। নিজের জরায়ু ও যৌনাঙ্গের মধ্যে করে কোকেন পাচার করার চেষ্টা করছিল সে। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। জানা গিয়েছে, ধৃত মহিলাকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। ওই মহিলা পাচারকারীর সঙ্গে মুম্বইয়ের 'আন্ডারওয়ার্ল্ড'-এর বেশ কয়েকজনের যোগাযোগ রয়েছে বলেও খবরও পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারও জেরার মুখে বারবার গোয়েন্দাদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে ওই মহিলা। চেঁচামেচিও করেছে। নাইজেরীয় ভাষায় কথা বলছে ইচ্ছা করেই, যাতে গোয়েন্দারা বুঝতে না পারেন। তবু তাকে জেরা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, কলকাতা থেকে ট্রেনে তার যাওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে। সেখান থেকে ফের মুম্বই। তার মূল টার্গেট ছিল কলেজের ছাত্ররা। কলকাতা ও তার আশপাশের ৬টি কলেজের ৩৫ জন ছাত্র যে এই মাদক চক্রের কাছ থেকে মাদক কিনত, তা গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। মহিলার এর আগে কলকাতায় এসেছিল কি না, সেই সম্পর্কে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হতে চাইছেন। তবে প্রত্যেক মাসে যে সারা দেশজুড়ে এই মাদক চক্রটি কয়েক কোটি টাকার মাদক পাচার করে, সেই বিষয়ে গোয়েন্দারা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন। ধৃত মহিলাও মাদক বিক্রি করে কোটি টাকা আয় করেছে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। এবার এই চক্রের এক ডজন নাইজেরীয় সদস্যের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাদের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।