মিথ্যে খবর রটালে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডমিনদের হতে পারে জেল ।


নয়াদিল্লি: নানা সময়ে মিথ্যা খবর, বিকৃত ফটো, আপত্তিকর ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে নানা সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী কিছু ঘটনায় কিছু এলাকায় ধর্মীয় সম্প্রীতিও নষ্ট হয়। এই ধরণের ঘটনা ঠেকাতে এবার গ্রুপ অ্যাডমিনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ৷ বারাণসী শহরের পুলিশ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যৌথ নির্দেশনামায় জানিয়েছে, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে খবর পেলেই অভিযুক্ত গ্রুপের অ্যাডমিনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি যদি কোনও হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ অ্যাডমিন হন অথবা ফেসবুকে কোনও গ্রুপ খুলে থাকেন তাহলে সেখানে আপত্তিকর পোস্ট, যেমন গুজব ছড়ানো বা মিথ্যা খবর পোস্ট করে থাকেন যদি কোনও মেম্বার, তার খেসারত দিতে হবে গ্রুপ অ্যাডমিনকে৷ সেজন্যই বারাণসীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যোগেশ্বর রাম মিশ্র ও পুলিশ সুপার নিতিন তিওয়ারি জানিয়েছেন, এমন ঘটনা ঘটেছে জানতে পারলেই গ্রুপ অ্যাডমিনদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। অসত্য, গুজব, বিকৃত তথ্য যাতে স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

তিন দিন আগেই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক বার্তা পোস্ট করার অপরাধে এক গ্রুপ অ্যাডমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের কৈরানার শামলি জেলায়৷ গ্রুপ অ্যাডমিন রশিদ ও আনসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তারা নিজেরা গ্রুপে কিন্তু এই জাতীয় পোস্ট করেন নি৷ কিন্তু অন্য কোনও সদস্য এই বিতর্কিত পোস্ট করলেও, তারা কোনও প্রতিবাদ করেন নি বলে অভিযোগ৷ তবে গোটা বিষয়টি চক্রান্ত বলে দাবি ধৃতদের পরিবারের৷

এরআগে, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ছবি শেয়ার করে গ্রেফতার হতে হয় দুই যুবককে। তার মধ্যে একজন সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন। নরেন্দ্র মোদীর একটি বিকৃত ছবি দেখেই ভাটকলের বাসিন্দা আনন্দ পুলিশে অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত গণেশ ও কৃষ্ণকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তৃতীয় অভিযুক্ত বালকৃষ্ণ পলাতক।

'দ্য বালসে বয়েজ' নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি শেয়ার করা হয়। ৩০-বছর বয়সি কৃষ্ণ সেই গ্রুপের অ্যাডমিন। তিনি কোনও আপত্তি করেননি মেসেজটি নিয়ে। কৃষ্ণ জামিন পেয়ে গেলেও, গণেশকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগেও ২০১৬ অক্টোবর মাসে আগ্রাতেও প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিজনক ফোটো হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করায় একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

সেক্ষেত্রে কী করবেন ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ অ্যাডমিনরা? পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী, কোনও গ্রুপ সদস্য আপত্তিকর কোনও খবর, ছবি বা গুজব পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে সেই পোস্ট ডিলিট করে ওই সদস্যকেও গ্রুপ থেকে বের করে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই গ্রুপ সদস্য এবং তার করা পোস্ট সম্পর্কে পুলিশকেও অবহিত করতে হবে।