মমতার মেসি নেই! সামনেই ‘লোকসভা কাপ’, দেখুন কোন দলের কোন পজিশনে কে


যে কোনও দিন নাকি লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। এমনটাই খবর রাজনৈতিক মহলে। বিশ্বকাপের বাজারে দেখে নেওয়া যাক কেমন হতে পারে 'নীল-সাদা' আর 'গেরুয়া-সবুজ' বাহিনীর টিম স্ট্র্যাটেজি।

বিশ্বকাপের 'লিভ ইট আপ' মিউজিক থামতে না থামতেই দামামা বাজিয়ে দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। যে কোনও দিন নাকি লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। এমনটাই খবর রাজনৈতিক মহলে। বিশ্বকাপের বাজারে দেখে নেওয়া যাক কেমন হতে পারে 'নীল-সাদা' আর 'গেরুয়া-সবুজ' বাহিনীর টিম স্ট্র্যাটেজি।


না, গোটা দেশের নয় ফুটবলপাগল বাঙালির জন্য রইল দুই দলের বেঙ্গল টিমের খবর।

ক'দিন আগেই রাজ্য সফর সেরে যাওয়া বিজেপি-র কোচ বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন গেরুয়া বাহিনী এবার আক্রমণাত্মক ভূমিকায় মাঠে নামবে। অন্যান্য ক্ষমতাসীন রাজ্যে বিজেপির স্ট্র্যাটেজি যাই হোক না কেন বাংলার জন্য অল-আউট ম্যাচ খেলাই লক্ষ্য। আর স্টার প্লেয়ার রূপে খোদ নরেন্দ্র মোদীই যে থাকবেন সেটা তো বলাই বাহুল্য। দেশের মতো রাজ্যেও মাঝমাঠ সামলানোর দায়িত্ব নিজের হাতেই রাখবেন মোদীভাই। কখনও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার আবার কখনও সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে তাঁকেই দেখা যাবে। আসলে গোল করতে হলে তাঁকেই করতে হবে। তিনিই টিম বিজেপির মেসি, রোনাল্ডো, নেমার।

তবে মাঝ মাঠে মেসি (পড়ুন মোদী) থাকলেও লেফট উইং, রাইট উইং পজিশনে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়। একটু পিছনে থেকে আক্রমণ চালাবেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এখানেও থাকবেন মোদী। আর চার ডিফেন্ডারের ভূমিকায় বাবুল সুপ্রিয়, সুভাষ সরকার, রাহুল সিনহা, শমিক ভট্টাচার্যকে দেখা যেতে পারে।

না, গোলে দাঁড় করানোর মতো কেউ নেই এখনও। এটাই চিন্তা বিজেপির। লোকসভা ভোটের আগে ভিনরাজ্য থেকে কাউকে উড়িয়ে আনতে না পারলে হয় তো কোচ শাহই পার্টটাইম গোলরক্ষক হয়ে যাবেন।

অন্য দিকে, টানা দু'বার বিধানসভায় ক্ষমতায় থাকার পরে কিছুটা হলেও ডিফেন্সিভ খেলতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কারণ, একের পর এক ২২ রাজ্যে ক্ষমতায় আসা বিজেপির এবার যে ক'টি রাজ্য লক্ষ্য তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। গত লোকসভা নির্বাচনে ৪২ আসনে ৩৭ পাওয়া তৃণমূলকে নতুন আসন না পেলেও পুরনো রক্ষা করার তাগিদ থাকবে বেশি। সেখানে কোচের দেওয়া ২২-এর টার্গেট নিয়ে বিজেপিকে গো-ও-ও-ওল দিতেই হবে। রক্ষা করতে হবে ২ আসন আর লড়াই দিতে হবে ২০ আসনে।

এই লড়াইয়ে বাংলার মাঠে উঠে নেমে খেলা মোদীকে ম্যান মার্কিং করা থেকে গোল সামলানো, সবেতেই অবশ্য টিম তৃণমূলের এক ভরসা— কোচ, ক্যাপ্টেন, স্ট্রাইকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার-চার-দুই ছকে খেলতে নামা বাংলার 'নীল সাদা' দল অবশ্য মেসি নির্ভর নয়, দিদি নির্ভর। তাই রাইট মিডফিল্ড, লেফট মিডফিল্ড পজিশনে শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখলেও সামনে থেকে পিছনে মাঝ মাঠের সব পজিশনেই থাকবেন তিনি। অরূপ থেকে ফিরহাদ, বাকি সবাই বসে থাকবেন রিজার্ভ বেঞ্চে। গোলকিপারের দায়িত্বটুকু পেতে পারেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তৃণমূল দলের ফুটবল সচিব তো নির্দিষ্ট— সুব্রত বক্সি। যাঁর উপরে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।

আর টিম বিজেপির সচিব থেকে ফিজিও সবই সামলাবে— আরএসএস।