সেমিফাইনালে ফ্রান্স, বিদায় নিলেন সুয়ারেসরা


প্রথম দল হিসেবে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল ফ্রান্স। শুক্রবার সন্ধেয় নিঝনি নভগরদ স্টেডিয়ামে শেষ আটের ম্যাচে দিদিয়ের দেশঁর দল ২-০ হারাল উরুগুয়েকে। ২০০৬ সালে শেষবার বিশ্বকাপের শেষ চারে গিয়েছিল ফরাসিরা। এক যুগ পরে আবার উঠল সেমিফাইনালে।

বিরতির আগে ৪০ মিনিটে আন্তোনিও গ্রিজম্যানের ফ্রি-কিক থেকে দুরন্ত হেডে রাফায়েল ভারানের গোল এগিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে আন্তোনিও গ্রিজম্যানের শট গোলরক্ষক মুসলেরার ভুলে হাতে লেগে ঢুকে গেল গোলে। দ্বিতীয় গোলই উরুগুয়ের লড়াকু মানসিকতাকে চুপসে দিল।

এডিনসন কাভানির অনুপস্থিতিতে উরুগুয়ের আক্রমণ কখনই সেভাবে দানা বাঁধল না। লুই সুয়ারেজের সঙ্গে কাভানির যুগলবন্দিই তো হল না। আর ফ্রান্স ক্রমশ ছন্দে ফিরল। শেষের দিকে মাঝমাঠে দাপট দেখাতে শুরু করলেন পল পোগবারা। আরও গোল করতেই পারত ফ্রান্স। তোলিসো একবার বারের ওপর দিয়ে মারলেন। একবার অলিভার জিহুর শট বাইরে গেল। এর মধ্যেই একবার এমবাপের পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল মাঠ। মিনিটখানেক বন্ধ থাকল খেলা। রেফারি হলুদ কার্ড দেখালেন উরুগুয়ের রডরিগেজ ও ফ্রান্সের এমবাপেকে।

ফ্রান্স ও উরুগুয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে ছিটকে দিয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালকে। উত্তেজক লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দুই দল। আগাগোড়া নাটকীয় ঘাত-প্রতিঘাত দেখাও গেল কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে।

মনে করা হচ্ছিল চোটের জন্য কাভানি খেলছেন না বলে উরুগুয়ে রক্ষণাত্মক থাকবে গোড়ায়। কিন্তু হল উলটো। উরুগুয়ে শুরু থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ল আক্রমণে। ফ্রান্সের আক্রমণ কাগজ-কলমে যত বিপজ্জনকই দেখাক না কেন, এমবাপেরা ততটা কার্যকরী হেত পারছিলেন না। বিরতির ঠিক আগে গোলশোধের জায়গায় পৌঁছেও গিয়েছিল উরুগুয়ে। তোরেইরার ফ্রি-কিক থেকে কাসেরেসের হেড এক হাতে আটকে দেন ফ্রান্স গোলরক্ষক লরিস। ফিরতি বলে শট গোলে রাখতে পারেননি গদিন।