"প্রতিরাতে ধর্ষণ করত বাবা, শাস্তি চাই"


আলিপুরদুয়ার : নাবালিকা মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল বাবাকে। ধৃতের নাম বিমল থাপা (নাম পরিবর্তিত)। জয়গাঁ থানার পুলিশ গতকাল সন্ধেয় তাকে গ্রেপ্তার করে। লাগাতার ধর্ষণের ফলে ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি কাউকে জানালে বিমল তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। তবে ঘটনাটি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নজরে এলে তা সর্বসমক্ষে আসে। POCSO আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্ত্রী কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। তাই জয়গাঁর দলসিংপাড়া চা বাগান এলাকায় তিন মেয়েকে নিয়ে থাকত বিমল। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে কালচিনি ব্লকের চুয়াপাড়া এলাকা। আর ছোটো মেয়ের বয়স ১২ বছর। নির্যাতিতা বিমলের মেজ মেয়ে। অভিযোগ, বাড়িতে স্ত্রী না থাকার সুযোগে রোজ রাতে তাকে ধর্ষণ করত বিমল। এমনকী কাউকে বিষয়টি জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিত। ভয়ে সে বিষয়টি লুকিয়ে রাখে। তবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মানবিক মুখের সদস্যদের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর তাঁরাই খোঁজ নিতে শুরু করেন। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দিল্লির এক কর্মী যোগাযোগ করেন নাবালিকার মায়ের সঙ্গে। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে এলাকায় ফিরে আসেন তিনি। রবিবার তাঁর সঙ্গে গিয়ে জয়গাঁ থানায় অভিযোগ জানায় ওই নাবালিকা। এরপর গতকাল সন্ধেয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিমলকে।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, "১৫ দিন আগে আমরা এই ঘটনার খবর পাই। কিন্তু, ওই নাবালিকার মা দিল্লিতে থাকায় এবিষয়ে কোনও অভিযোগ জানানো যায়নি। দিল্লিতে আমাদের এক সদস্যের সাহায্যে ওর মাকে ঘটনাটির খবর দিলে তিনি ফিরে আসেন। সবথেকে অবাক করা বিষয় অভিযুক্তের পাশাপাশি মেয়েটির পরিবারের কয়েকজন পেটের সন্তান বিক্রি করে মোটা টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভও দেখিয়েছিল। কিন্তু, ওই নাবালিকা তাতে রাজি হয়নি। ঘটনাটি কথা জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিকদেরও জানানো হয়েছে।"

নির্যাতিতার অভিযোগ, "বাবা প্রতিরাতে আমাকে ধর্ষণ করত। বাধা দিলে মারধর করত। কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকিও দিত। মা বাইরে থাকার সুযোগেই আমার উপর অত্যাচার চালাত। বাবার শাস্তি চাই।"