চাইল্ড পর্ন দেখলে বা ছড়িয়ে দিলে হতে পারে জেল, নয়া আইনের ভাবনা কেন্দ্রের


 শিশুদের দিয়ে তৈরি বা ডাউনলোড করা কোনও পর্নোগ্রাফি সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়া রুখতে কঠোর পদক্ষেপ ভারত সরকারের৷ মোবাইলে চাইল্ড পর্ন রাখলে এড়ানো যাবে না গ্রেপ্তারি৷ অপরাধীর সাজা পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল৷

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শিশুদের যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে ভারতে৷ ধর্ষণের পর সেই ভিডিও থেকে তৈরি করা হচ্ছে পর্নোগ্রাফি৷ তা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে এক চক্র৷ এবার সেই চক্রের কুকর্ম রোধ করে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতেই এমন চিন্তাভাবনা ভারত সরকারের৷ তার আগে ২০১২ সালে শিশু সুরক্ষা আইনে বলা হয়েছে, যারা এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হবে৷ ১২ বছর বা তার কমবয়সীদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির আইন পাশ হয়েছে সদ্যই৷

শুধু শিশু পর্নোগ্রাফি দেখা, মোবাইলে ডাউনলোড করে রাখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া যেমন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে, ঠিক তেমনই পর্নোগ্রাফি তৈরির জন্য শিশু শরীরে নানা হরমোন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও হতে পারে সাজা৷ অনেক সময় দেখা যায়, হোমে বেড়ে ওঠা শিশুদের হরমোনজনিত ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়৷ এরপর জোর করে পর্নোগ্রাফি তৈরিতে কাজে লাগানো হয় ওই শিশুদের৷ কেন্দ্রের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী যে বা যারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে৷ আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন৷ তাতে এই বিলটির কথা উঠতে পারে৷ সমর্থন পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে৷

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কেন্দ্রের তরফে বেশ কয়েকটি পর্ন সাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন অনেকে৷ তবে সেই সময়ই শিশু পর্ন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়৷ তা সত্ত্বেও অনেকেই এখনও শিশুদের নিয়ে এইসব কাজ করে যাচ্ছে বলে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের৷