শিক্ষকের অমানবিক শাস্তিতে হাসপাতালে ১০-এর শিশু


শিক্ষকের শাসনের ঠেলায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হল ক্লাস সিক্সের এক ছাত্রীকে। অপরাধ? শিশুটি নাকি ওয়ার্ম-আপ এক্সারসাইজ ঠিকমতো নিয়ম মেনে করেনি। সেই কারণে তাকে স্কুলের মাঠে ৬০ পাক দৌড়নোর শাস্তি দিলেন ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষক। 

সেকেন্দ্রাবাদের নাম করা স্কুল সেন্ট ফ্রান্সিস গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে এই অমানবিক ঘটনা। ১০ বছরের শিশুটি দৌড়তে দৌড়তে যখন জানায় আর পারছে না, তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, বুকে ব্যাথা হচ্ছে, তার তোয়াক্কা না-করে শিক্ষক তাকে দিয়ে পুরো ৬০ পাক দৌড় করান বলে অভিযোগ। এই ঘটনা গত ১৯ জুলাই ঘটলেও সোমবার তেলেঙ্গানা অভিভাবক সমিতির সদস্যরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, 'PET শিক্ষক রমাকান্ত শাস্তি দিয়ে ৬০ পাক দৌড় করানোর পর আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ও সারা শরীরে ব্যাথা নিয়ে বাড়ি ফেরে। এরপর ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।' তিনি জানান, এই ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্কুলশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক।

তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ পর এই অভিযোগ অস্বীকার করে। একটি সার্কুলার জারি করে জানানো হয়, 'প্রমাণ ছাড়া কারওকে শাস্তি দেওয়াটা ঠিক নয়। প্রধান শিক্ষিকা CCTVতে দেখেছেন যে শিশুটি শিক্ষকের শেখানো ওয়ার্ম-আপ এক্সারসাইজের নিয়ম মানছিল না। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মেয়েটি খুব বেশি হলে ২০ মিনিট দৌড়েছে। আর জোরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়। কাজেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই মনে করছেন প্রধান শিক্ষিকা।'