তিন লক্ষাধিক চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ এখন আইনি জটাজালে বন্দি, মামলার ফাঁসে এসএসসি


মামলার ফাঁস থেকে মুক্ত হতে পারছেই না স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ ক্রমেই বিশ বাঁও জলে তলিয়ে যাচ্ছে। আবারও এক মামলায় ফাঁসে বন্দি হল শিক্ষক নিয়োগ। এবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হল হাইকোর্টে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকা নিয়ে মামলা করলেন চাকরিপ্রার্থী।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে দায়ের করা হয়েছে মামলা। মামলাকারী মণিকা রায়। তাঁর অভিযোগ, মাধ্যমিক স্তরেও কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে দ্রুত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকেও মেধাতালিকা নিয়ে অভিযোগ। এই আবেদনের ফলে উচ্চমাধ্যমিকের মতো মাধ্যমিকেও মেধা তালিকা পরিবর্তিত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।

অন্য একটি মামলায় এসএসসির মডেল উত্তরপত্রের উত্তর নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মোট ৬১ জন হাইকোর্টে এই মডেল উত্তরপত্র্রের বিভ্রান্তি নিয়ে মামলা দায়ের করেছেণ। মামলাকারীদের অভিযোগকে ইতিমধ্যেই মান্যতাও দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে মডেল উত্তরের তিনটি ভুল। এই অবস্থায় মামলাকারীদের উত্তর সঠিক হলে তাদের পূর্ণ নম্বর দিতে হবে।

এই মুহূর্তে উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক তিন স্তরেই শিক্ষক নিয়োগ ঝুলে রয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দায়িত্ব এখন ৩২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা। মাধ্যমিকে ১৩ হাজার শূন্যপদ, উচ্চমাধ্যমিকে প্রায় পাঁচ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ ঝুলে রয়েছে। এই দুই স্তরে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে এক লক্ষ ৪৩ হাজার ও এক লক্ষ ২৩ হাজার। এই বিপুল পরিমাণ চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ এখন আইনি ফাঁদে বন্দি।