লন্ডনের আদালতে নিজেকে ‘গরিব’ বলে দাবি বিজয় মালিয়ার


আদালতে জয়ের পরও হয়তো লন্ডন থেকে খালি হাতেই ফিরতে হবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিকে। আদালতের রায়ের শেষেও কৌশলী মালিয়া হয়তো পার পেয়ে যাবেন আবারও। আসলে ১৩টি ভারতীয় ব্যাংকের আবেদনের ভিত্তিতে মালিয়ার ইংল্যান্ডের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে ওয়েস্টমিনস্টার আদালত। কিন্তু মালিয়ার দাবি, তাঁর নামে যা সম্পত্তি আছে তা নেহাতই নামমাত্র অথচ তিনি লন্ডনে থাকেন বিলাসবহুল বাড়িতে, ব্রিটেনে আরও দু'টো দামী অট্টালিকা রয়েছে তাঁর।

মালিয়ার কাছে এদেশের ১৩টি ব্যাংক প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা পায়। সেই মামলায় এখনও কিংফিশারের মালিককে দেশে ফেরানো না গেলেও প্রাথমিক জয় পেয়ে গিয়েছিল ভারতীয় ব্যাংকগুলি। ওয়েস্টমিনস্টার আদালত নির্দেশ দিয়েছল ব্যাংকের ঋণ শোধ করার জন্য ইংল্যান্ডে মালিয়ার যত সম্পত্তি আছে তা নিলাম করা যাবে। ঠিক কত টাকার সম্পত্তি আছে তা জানানোর জন্য মালিয়াকে একটি হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু লিকার ব্যারনের দেওয়া হলফনামায় চক্ষু চড়কগাছ বিচারক থেকে শুরু করে ব্যাংক কর্তাদের। মালিয়ার দাবি, ব্রিটেনে তাঁর গোটা কয়েক গাড়ি আর কিছু সোনার গয়না ছাড়া বেশি কিছু নেই। এই টাকা দিয়ে ভারতীয় ব্যাংকগুলির ঋণ শোধ হবে না। আদালত চাইলে ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজন হবে না, তিনি নিজেই সেসব আদালতে জমা দিয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন মালিয়া।

কিন্তু প্রশ্ন হল, লন্ডনে যে বিলাসবহুল বাংলোয় মালিয়া থাকেন তাঁর মালিক কে? তাছা়ড়া ব্রিটেনে আরও অন্তত ২টো বড়সড় বাংলো রয়েছে মালিয়ার, সেসব সম্পত্তির হিসেব কোথায়? আসলে কৌশলী মালিয়া নিজের সব দামী সম্পত্তিগুলি নিজের আত্মীয়দের নামে লিখে দিয়েছেন। তাঁর লন্ডনের বাড়িটি রয়েছে ছেলের নামে। ব্রিটেনে তাঁর আরও অন্তত দুটি বাড়ি তিনি লিখে দিয়েছেন নিজের মায়ের নামে। এমনকি যে কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে মালিয়া যুক্ত সেসব সংস্থার শেয়ারও তাঁর নামে নেই বলে দাবি তাঁর। মোট কথা হাজার হাজার কোটির সম্পত্তির মালিক হওয়ার সত্ত্বেও নিজের নামে কিছুই রাখেননি কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মালিক। ফলে বাজেয়াপ্ত করার উপযুক্ত সম্পত্তি মালিয়ার নামে নেই। তাই মামলায় জিতেও আপাতত খালি হাতে ফেরার আশংকায় ভারতীয় ব্যাংকগুলি।