১০০ দিনের কাজ হাতি তাড়ানোও!


চাষিদের আয় দ্বিগুণ করতে তার খরচ কমানোর জন্য একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে কাজে লাগাতে চাইছে মোদী সরকার। এর রাস্তা খুঁজতে নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রীদের উপকমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেচের জলকে কাজে লাগানো, চাষিরা যাতে ফসলের উচিত দাম পান তার জন্য বাজারে পরিকাঠামো তৈরি, এক বার ফসল তোলার পরে জমিকে ফের চাষের কাজে ব্যবহার এবং চাষের পাশাপাশি অন্যান্য কাজের সুযোগ তৈরি করতেও একশো দিনের কাজের প্রকল্প ব্যবহার হতে পারে। এমনকি হাতির হামলা থেকে ফসল রক্ষা করতেও একশো দিনের কাজকে ব্যবহার করা যাবে।

কী ভাবে তা হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট হয়নি। একশো দিনের কাজের মজুরি দিয়ে চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সে ক্ষেত্রে গ্রামীণ পরিকাঠামো তৈরির কাজ ব্যাহত হওয়ারও আশঙ্কা। কমিটির সদস্য ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠকে যোগ দেননি। চিঠি লিখে মতামত জানিয়েছেন। মমতার যেমন মত, কৃষি ও উদ্যানপালনের বিভিন্ন কাজকেও একশো দিনের আওতায় আনা হোক। চৌহান বলেন, মমতা ও নাইডু, দু'জনেই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।

দিল্লিতে বৈঠকে হাজির ছিলেন চৌহান ও যোগী আদিত্যনাথ। নীতীশ কুমার ও গুজরাতের বিজয় রূপাণি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।