চলে গিয়েছে বন্ধু, দুদিন খাবার ছুঁল না সঙ্গী ঘোড়া, কুকুরগুলো


চণ্ডীগড়: প্রতিটা মুহুর্তের সঙ্গী ছিলেন তিনি৷ খাওয়া দাওয়া, ঘুম, খেলাধুলা, কাজের সঙ্গী তো বটেই, যোগ ছিল মানসিক৷ অবলা প্রাণীগুলোর মনের কথা যেন বুঝতেন সাব ইন্সপেক্টর মঙ্গল সিং৷ বদলে ভালোবাসা পেতেন নি:শর্ত ভাবে৷

আইটিবিপির সাব ইন্সপেক্টর মঙ্গল সিং ছাড়া দিন চলত না প্রশিক্ষণরত ঘোড়াগুলোর৷ ছিল প্রশিক্ষিত কুকুরও৷ এদের সবার সাথে তাঁর ছিল আত্মার টান৷ তিনি এদের খাওয়াতেন, প্রশিক্ষণ দিতেন, বন্ধুত্ব করতেন৷ সেই বন্ধুত্ব দাঁড়িয়েছিল আত্মীয়তায়৷ এক অদ্ভুত সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল দুই তরফে৷ না বলা কথাতেও প্রচুর ভাব বিনিময় চলত তাদের মধ্যে৷

সেই মঙ্গল সিং আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সোমবার৷ অরুণাচল প্রদেশের লোহিতপুরের এটিএস বা অ্যানিমাল ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত অবস্থাতেই মারা যান তিনি৷ তার এক ঘন্টা আগে ঘোড়াদের খাইয়েছেন তিনি৷ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন৷
 
কিন্তু তাঁর এই আচমকা চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেন নি তাঁর সহকর্মীরা৷ আর কিছু বলতে না পারার যন্ত্রণা নিয়ে নীরবেই চোখের জল ফেলেছে ট্রেনিং সেন্টারের পশুগুলো৷

তাদের বন্ধু চলে যাওয়ায় কার্যত খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তারা৷ সোমবারের পর থেকে খাবার ছোঁয়নি ঘোড়া, কুকুরগুলো৷ মঙ্গল সিং হিমাচলপ্রদেশের উনার বাসিন্দা৷ অরুণাচল প্রদেশ থেকে তাঁর দেহ নিয়ে আসতে সময় লাগে পাক্কা দুদিন৷ বুধবার রাতে তাঁর দেহ এসে পৌঁছয় উনাতে৷ বৃহস্পতিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়৷

সহকর্মীরা বলছেন ট্রেনিং সেন্টারের অন্যতম দক্ষ পশু প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি৷ প্রাণ দিয়ে ভালবাসতেন অবলা প্রাণীগুলোকে৷ দুদিন ধরে না খেয়ে সেই শোকই যেন পালন করল মঙ্গল সিংয়ের ছেড়ে যাওয়া ঘোড়াগুলো৷