রাহুল প্রধানমন্ত্রী হবেন ব্রাহ্মণ-কন্যার সঙ্গে বিয়ে হলে! সোনিয়াকে ‘সু-পরামর্শ’ সাংসদের


রাহুল গান্ধীকে 'সু-পরামর্শ' দিলেন তেলেগু দেশম পার্টির সাংসদ দিবাকর রেড্ডি। তিনি বললেন, রাহুল গান্ধীকে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে হয় কিংবা দেশের বুকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হয়, তবে অবিলম্বে তাঁর বিয়ে করা উচিত। আবার যাঁকে-তাঁকে নয়, উত্তরপ্রদেশের কোনও ব্রাহ্মণ কন্যাকে বিয়ে করলেই সুদিন ফিরবে রাহুলের। রাহুল হবেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুলের দল কংগ্রেস পাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টির সাংসদ দিবাকর রেড্ডি জানান, এই কথা তিনি অনেকদিন আগেই সোনিয়া গান্ধীকে বলেছিলেন। উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশেরই এক ব্রাহ্মণ কন্যার বিয়ে দিতে হবে। তবেই উত্তরপ্রদেশের সুদিন ফিরবে কংগ্রেসের। একই সঙ্গে দেশের রাজনীতিতেও রাহুল গান্ধী প্রতিষ্ঠা পাবেন।

তেলেগু দেশম পার্টির সাংসদ দাবি করেন, তিনি এই প্রস্তাব রাখলেও, ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ছেলের জন্য এমন প্রস্তাব উড়িয়ে দেন। কিন্তু কেন এমন কথা বললেন টিডিপি সাংসদ। তাঁর ব্যাখ্যা, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে হিন্দু-ব্রাহ্মণদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। আর সেই ভোট ব্যাঙ্ককেই কাজে লাগাতে হবে। এই হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ককে কাজে লাগিয়েই ২০১৪ ও ২০১৬ সালে জিতেছে বিজেপি।

তাঁর প্রস্তাব, এবার সেই সুযোগ কাজে লাগাক কংগ্রেস। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে নিজেদের দখলে আনতে নতুন করে আসনে নেমেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। এই লড়াই তাঁর পক্ষে সহজতর হবে যদি তিনি উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ-কন্যাকে বিয়ে করেন।

তেলেগু দেশর পার্টির সাসংদের এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, দিবাকর রেড্ডি একটা সময়ে কংগ্রেস করতেন। তখনই তিনি সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছিলেন এই কথা। তা এতদিন পর ফের টেনে এনে রাহুল গান্ধীকে জয়ের পথ দেখাতে চাইলেন। তাঁর এই প্রস্তাব এতদিন পর সামনে আসায়, নানা মহলে এর নানা ব্যাখ্যা শুরু হয়েছে। জাতপাতের রাজনীতি ফের প্রকট হয়ে উঠেছে সাংসদের এই ধরনের মন্তব্যে।