সুপারি কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন স্ত্রীর, বাড়ির অদূরেই মিলল দেহ


ফের মনুয়া কাণ্ডের ছায়া। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সুপারি কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসিরহাটে।

বসিরহাটের মাটিয়া থানার ঘোড়ারাস গ্রাম। স্ত্রী ফরিদা বিবি ও ছেলেকে নিয়ে ওই গ্রামে থাকতেন বছর পঁয়তাল্লিশের ফকির আহমেদ। স্থানীয়দের অভিযোগ,  বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল ফরিদা বিবির। সেই নিয়ে দাম্পত্য অশান্তি ছিল পরিবারে। স্বামীস্ত্রীর মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশি সভাও বসেছে গ্রামে। মাস দেড়েক আগেই বাপের বাড়ি থেকে ফিরে সংসার শুরু করেছিল ফরিদা। তারপরেই এই ঘটনা।

এদিন সকালে নিজের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে উদ্ধার হয় ফকির আহমেদের নিথর দেহ। সকালে উঠে বাবার রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখতে পায় ছেলেই। এররপরই ফরিদা বিবির অসংলগ্ন কথাতে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ফরিদা বিবিকে আটক করে মারধর করে রাখে।

গ্রামবাসীদের সন্দেহ, পথের কাঁটা সরাতে স্ত্রী ফরিদা বিবিই খুন করেছে ফকিরকে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দুষ্কৃতী লাগিয়ে খুন করেছে স্বামীকে। অভিযুক্ত ফরিদা বিবিকে আটক করেছে পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিস।

উল্লেখ্য, প্রেমিক অজিত রায়ের সঙ্গে মিলে স্বামী অনুপম মজুমদারকে খুনের ছক কষেছিল বারাসতের মনুয়া। প্রেমিকের হাতে স্বামীর খুনের লাইভ ফোনে ঠান্ডা মাথায় শুনেছিল মনুয়া। বারাসতের এই ঘটনার নৃশংসতায় শিউরে উঠেছিল সারা রাজ্য। দীর্ঘ ৬৭ বছর সম্পর্কের পর বিয়ের এই পরিণতিতে তাজ্জব বনে যান দুঁদে গোয়েন্দারাও। পরে আঙটি আর ফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় নাটের গুরু মনুয়াকে।