পুলিশ লাইন চত্বরে মহিলা কনস্টেবলকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, অভিযুক্ত স্বামী


কোচবিহারলাইন চত্বরে মহিলা কনস্টেবলকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম মাণিক বর্মন।আক্রান্ত কনস্টেবলের নাম অর্পিতা বর্মন। পেশায় এনভিএফ কর্মী তিনি। অর্পিতার গলায় পিঠে ও ঘাড়ে ছুরি মারে অভিযুক্ত। আঘাত গুরুতর হওয়ায় কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অর্পিতাদেবী। সোমবার মধ্যারাতের দিকে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার পুলিশ লাইনে। তবে দুষ্কর্ম করে পালাতে পারেনি অভিযুক্ত। তাকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ লাইন চত্বরে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটলেও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পদস্থ কর্তারা

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মাণিক বর্মণ আক্রান্ত কনস্টেবলের স্ত্রী। বছর তিনেক আগে তাঁদের আইনি বিয়ে হয়। যদিও তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন না। এই বিয়ে নিয়েও তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। অর্পিতাদেবী পুলিশ লাইনেই থাকেন। অন্যদিকে দিনহাটার বাড়িতে থাকে অভিযুক্ত। বেশ কিছুদিন ধরেই এই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে কখনওই সহকর্মীদের কাছে মুখ খোলেননি ওই মহিলা কনস্টেবল। অভিযোগ, এই প্রথম স্বামী তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছে এমন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার পুলিশ লাইনের মধ্যেই নিগ্রহের শিকার হয়েছেন অর্পিতাদেবী। বছর খানেক আগেই পুলিশ লাইনে ঢুকে স্ত্রীকে মারধর করে অভিযুক্ত। তবে তারপর পুলিশ লাইনের তরফে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর সংযত ছিল মাণিক। ফের সোমবার রাতে সে চড়াও হয়। এবার পরিকল্পনা করেই এসেছিল। আচমকাই ওই মহিলা কনস্টেবলের ওপরে ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর গলা, পিঠ ও ঘাড়ে এলোপাথাড়ি ছুরি চালাতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ছুটে এলেই ছুরি ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ লাইন চত্বরের রাস্তার উপরেই ঘটনাটি ঘটে। তবে এলাকা থেকে বেরিয়ে যেতে পারেনি অভিযুক্ত। তাকে আটক করা হয়েছে। তবে ছুরিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে আক্রান্ত কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে তড়িঘড়ি শহরের এমজেএন হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সেখানেই জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁর গলার আঘাতটি গুরুতর। তবে কি কারণে এই আক্রমণ তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তে নেমেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ লাইনের ভিতরে ঘটনাটি ঘটায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মুখ খোলেননি পদস্থ কর্তারা।