পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী হামলা, হত শতাধিক


বিস্ফোরণে আহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের আগে জঙ্গি নিশানায় রাজনৈতিক সমাবেশ। শুক্রবার দু'টি সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারালেন একশোরও বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।

২৫ জুলাই সাধারণ নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক মিছিল-সমাবেশে বিক্ষিপ্ত আক্রমণ হলেও এত বড় হামলা এই প্রথম। এ দিন সব চেয়ে বড় বিস্ফোরণটি হয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশের মাসতুং জেলায়, বালুচিস্তান আওয়ামি পার্টির সমাবেশে। ওই প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবাব আসলাম রায়সনির ভাই সিরাজ-সহ অন্তত ১২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে বালুচিস্তান প্রশাসন। আহত ১৫০। বিস্ফোরণের দায় নিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। আহতদের ছ'টি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ডেকে আনা হয়েছে অতিরিক্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী। 'বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড'-এর তরফে জানানো হয়েছে, আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ১৬-২০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক।

দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশের বান্নু এলাকায়, মুত্তাহিদা মজলিস আমল-এর নেতা আক্রম খান দুরানির সমাবেশে। দুরানি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান ইমরানে খানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি অক্ষতই আছেন। পরে দুরানি বলেন, ''যতই হামলা হোক, প্রচার চালিয়ে যাব।'' নাসিরুল মুলকের সরকার সম্প্রতি দাবি করছিল, দেশে জঙ্গিদের নির্মূল করা গিয়েছে। কিন্তু ভোটের মিছিল-সমাবেশ শুরুহতেই হামলা শুরু হয়েছে পুরোদমে।  গত সোমবার পেশোয়ার শহরে জঙ্গি হামলায় আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির প্রার্থী হারুণ বিলোর-সহ ১৯ জন প্রাণ হারান। তেহরিক ই তালিবান ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।