প্রতিকূল আবহাওয়া, মানস সরোবরের যাত্রাপথে নেপালে আটকে ২৫০ ভারতীয়


প্রতিকূল আবহাওয়া। বারবার বিঘ্নিত অমরনাথ যাত্রা। এবার আটকে গেল ২৫০ পুণ্যার্থীর মানস সরোবর যাত্রাও। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেপাল। সিমিকোট এলাকায় আটকে কর্ণাটকের ২৫০ বাসিন্দা। প্রত্যেকেই কৈলাসের মানস সরোবরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাহাড়ি এলাকায় ক্রমাগত বৃষ্টি ও ধসের কারণে আটকে গিয়েছেন পুণ্যার্থীরা। প্রিয়জনের প্রাণ নিয়ে শঙ্কিত ভারতে থাকা পরিবার। যদিও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর তরফ থেকে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে কর্ণাটক সিএমও-র পক্ষ থেকে।

কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার দু'টি পৃথক রুট রয়েছে। একটি নাথু লা রুট, যা সিকিম হয়ে যায়। অন্যটি লিপুলেখ পাস রুট, যা উত্তরাখণ্ড দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কিছুদিন আগেই ডোকলামের ভারত-চিন সীমান্তে দুই দেশের সেনার মধ্যে টানা ৭৩ দিনের সংঘর্ষের জেরে নাথু লা রুট বন্ধ করে দিয়েছিল চিন। ফলে গতবছর মানস সরোবরে যেতে পারেননি পর্যটকরা। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে চিনা প্রশাসনিক কর্তাদের কথোপকথনে বরফ গলে। চলতি বছরে ফের নাথু লা রুট খোলা হয়। জুন মাসের আট তারিখ থেকে চলতি বছরের যাত্রা শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যাচ যাত্রা শুরু করে।

কৈলাসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন কর্ণাটকের ২৫০ পুণ্যার্থীও। নেপালের সিমিকোটের কাছে পৌঁছাতেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এলাকায় আটকে পড়েন পুণ্যার্থীরা। জানা গিয়েছে, নেপাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ার কারণে যাত্রাপথেও এগোনোও সম্ভব হচ্ছে না, আবার ফিরে আসাও যাচ্ছে না। তবে প্রত্যেককে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে। বয়স্কদের স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে। কাঠমাণ্ডুতে ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে হেল্পলাইন নম্বরও চালু করে হয়েছে। +৯৭৭ ৯৮৫ ১১০৭০০৬ নম্বরে যোগাযোগ করলে যাবতীয় তথ্য মিলছে। প্রয়োজনে হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও যাত্রীদের উদ্ধারের কথা ভাবা হচ্ছে।