দেড় বছরের সন্তানকে গলা টিপে খুন মায়ের, দেহ কোলে থানায় এসে আত্মসমর্পণ


একজন শিশুর কাছে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হল তার মা। কিন্তু খড়গপুরের কাঁটা গড়িয়ার বাসিন্দা এই মা যা করল, তা জানলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনার। নিজে হাতে নিজের সন্তানকে খুন করেছে কাজল হেমব্রম মানে ওই যুবতী।

বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় কাজলের। বিয়ের পর পরই সন্তান হয়। এখন সেই সন্তানের বয়স হয়েছিল ১ বছর ৪ মাস। এদিন সকালে সেই সন্তানকে নিজে হাতে গলা টিপে খুন করেছে কাজল। এরপরের ঘটনা আরও চমকে ওঠার মত। নিজের সন্তানকে খুনের পর পালিয়ে যায়নি কাজল। নিজেই 'মৃত' সন্তান কোলে টোটোয় চেপে বসেন। ফোন করেন পুলিসকে। তারপর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।

পুলিসি জেরার মুখে কাজল জানিয়েছে, স্বামী কোনও কাজ করত না। কোনও রোজগার ছিল না স্বামীর। সংসারে অভাব ছিল খুব। টানাটানির সংসারে রোজই অশান্তি লেগে থাকত। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া ছিল নিত্য ঘটনা। কাজলের অভিযোগ, তাকে মারধর করত স্বামী।

শুধু তাই নয়, কাজলের অভিযোগ, তার সঙ্গে রোজ ঝগড়া করত তার জা। স্বামীকে কেড়ে নেবে বলে হুমকিও দিত জা। যদিও জায়ের সঙ্গে তার স্বামীর কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল না বলেই দাবি কাজলের। কাজল জানিয়েছে, এদিন সকালে বাসন নিয়ে জায়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এরপরই সে আত্মহত্যা করতে যায়।

কিন্তু, আত্মহত্যা করতে গিয়েই তার মনে হয়, সে মারা গেলে, তার সন্তানকে কে দেখবে? এরপরই সন্তানকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় সে। গলা টিপে খুন করে নিজের দেড় বছরের সন্তানকে। শিশুটি চিত্কার করলে ভয় পেয়ে যায় সে। তারপর সন্তান কোলেই টোটোয় চেপে থানায় আসে কাজল।

সেখানেই পরীক্ষার পর শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকেও আটক করেছে পুলিস।