ফাঁকা বাড়িতে নাবালক দাদার ধর্ষণের শিকার শিশুকন্যা, রাজধানীতে চাঞ্চল্য


 মান্দাসৌর গণধর্ষণ কাণ্ডের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। ফের শিশুকন্যা ধর্ষণের ঘটনা ঘটল রাজধানীতে। তবে এবার স্কুল নয়, বাড়িও যে শিশুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় নয় ফের প্রমাণ হল। বাড়িতেই নাবালক দাদার বিকৃত যৌন লালসার শিকার হল বছর আটেকের শিশুকন্যা। সোমবার ঘটনাটি ঘটলেও নির্যাতিতা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি হলে বুধবারে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। যৌনাঙ্গে মারাত্মক আঘাত নিয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই একরত্তি। অভিযুক্ত নাবালককে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা মা দিল্লির আদর্শনগর এলাকায় থাকেন। ওই দম্পতি পেশায় দিনমজুর। সকালে ছেলে মেয়েকে রেখে কাজে বেরিয়ে যান, সন্ধ্যায় ফিরে আসেন। সোমবারও এই নিয়মের কোনও হেরফের হয়নি। অভিযোগ, সেদিন বাবা মা বেরিয়ে যেতেই ছোট বোনের উপরে নারকীয় অত্যাচার চালায় নাবালক দাদা। তাকে মারধরও করে। বাবা, মা বাড়ি ফিরে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছে মেয়ে। তড়িঘড়ি মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পরই জানিয়ে দেন, ধর্ষিতা হয়েছে একরত্তি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর নির্যাতিতা নিজেই ডাক্তারদের জানায়, তার দাদাই নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছে। এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে নাবালিকা।

এদিকে নাবালিকাকে দেখতে বুধবারই হাসপাতালে যান দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি জটিল অস্ত্রোপচার জরুরি। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে অস্ত্রোপচারও সম্ভব হবে না। অন্যদিকে দিনমজুর বাবা মায়ের পক্ষে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তাই আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করা হচ্ছে। নির্যাতিতা নাবালিকার ট্রমা কাটাতে সার্বিকভাবে চেষ্টা করবে কমিশন। গোটা দেশে মহিলা ও শিশুকন্যাদের উপরে আক্রমণের ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনতে গেলে এখনই সরকারকে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করতে হবে।'

উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিশের তথ্য বলছে, প্রতিদিন রাজধানীতে অন্তত দু'জন শিশুকন্যা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। ২০১৭-র এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীতে শিশুকন্যা ধর্ষণের ২৭৮টি কেস ফাইল হয়েছিল। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ২৮২। গতবছর গোটা দেশে শিশুকন্যা ধর্ষণের ৮৯৪টি অভিযোগ জমা পড়ে।