পাক জেলে বন্দি ৪৭১ জন ভারতীয়, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট নয়াদিল্লির হাতে


উত্তপ্ত রয়েছে কূটনৈতিক পরিস্থিতি৷ আর তারমধ্যেই উভয় দেশের বিভিন্ন জেলে বন্দি অবস্থায় থাকা পরস্পরের নাগরিক ও মৎস্যজীবীদের মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত-পাকিস্তান৷ জানা গিয়েছে, ২০০৮-এ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া চুক্তি মেনেই দু'দেশ শুরু করতে চলেছে বন্দি মুক্তির এই প্রক্রিয়া৷ যেখানে পাক প্রশাসনের কাছে ভারত দাবি করেছে, ইতিমধ্যে যারা সাজার সময়সীমা অতিক্রম করেছেন এবং ভারতীয় বলে যাঁদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা গিয়েছে তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুক্তি দেওয়া হোক৷ পাশাপাশি ভারতের কাছেও একই অনুরোধ করা হয়েছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও৷

জানা গিয়েছে, ভারতের হাতে পাকিস্তান তুলে দিয়েছে সেখানকার বিভিন্ন জেলে বন্দি ৫৩ জন ভারতীয় নাগরিক ও ৪১৮ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী বন্দির পরিসংখ্যান৷ পাশাপাশি, ভারত পাকিস্তানকে জানিয়েছে, ২৪৯ জন পাক নাগরিক ও ১০৮ জন পাক মৎস্যজীবীর পরিসংখ্যান৷ এনারা প্রত্যেকেই কোনও সময় সীমান্ত পেড়িয়ে বা জলসীমা লঙ্ঘন করে পাক জমিতে ঢুকে পড়েছিল৷ এদেরই চটজলদি মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান হয়েছে৷

ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদব ও হামিদ নেহাল আনসারিকে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের দেশে বন্দি করে রেখেছে পাকিস্তান৷ কুলভূষণকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাক জেলে আটকে রাখা হয়েছে৷ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছিল পাক আদালত। পরে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। একই ভাবে, পাক জেলে ২০১২ থেকে বন্দি রয়েছেন ভারতীয় নাগরিক হামিদ নেহাল আনসারি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল এক পাক মহিলার। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই আফগানিস্তান থেকে সীমান্ত পেড়িয়ে বেআইনি পথে পাকিস্তানে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন হামিদ। ধরা পড়ে গিয়েছিলেন পাক সেনার হাতে। তখন থেকে এখনও জেলে বন্দি তিনি। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে যে তালিকা পাঠান হয়েছে, সেখানে কোনও নাম উল্লেখ করা হয়নি। কেবল পাঠান হয়েছে ভারতীয় নাগরিক ও মৎস্যজীবীদের পরিসংখ্যান।