'যোনিতে কাঠ ঢোকানোটা রেপ নয়', ধর্ষিতাকে বোঝাচ্ছেন পুলিশের শীর্ষ কর্তা!


চলন্ত SUV-তে গণধর্ষিতা হয়েছিলেন গত মার্চ মাসে। এখন সেই ২২ বছরের যুবতীকে FIR বদলানোর জন্য হুমকি দিচ্ছেন পুলিশেরই এক শীর্ষ কর্তা। এমনই অভিযোগ উঠল আমেদাবাদ পুলিশের বিরুদ্ধে। 

নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে ধর্ষিতার অভিযোগ, তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন যুগ্ম কমিশনার জেকে ভাট। তিনি এই মামলাকে প্রতারণার মামলা করে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। মেয়েটির দাবি, 'পুলিশ আমায় বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে। FIR বদলানোর জন্য আমায় হুমকি দিয়ে জোরাজুরি করছেন যুগ্ম কমিশনার জেকে ভাট। তাঁর বক্তব্য আমি মিথ্যে বলছি। তাই আমায় FIR বদলে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতে চাপ দিচ্ছেন তিনি। তিনি আমার সঙ্গে এমন আচরণ করছেন, যেন আমিই অপরাধী।'

তাঁকে ওই পুলিশ অফিসার কুত্‍‌সিত কথাও বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা। তাঁর কথায়, 'তিনি বলছেন, মূল অভিযুক্ত কখনওই এই কাজ করতে পারে না। তাঁর হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে পুলিশ। কাঠের মতো যে বস্তুটি আমার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাকে ধর্ষণ বলা যায় না। তিনি আমায় বলেন, ধর্ষণ কীভাবে হয় তা তুমি জানো না।'

যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার একে সিং জানান, 'পুলিশ কমিশনার হিসেবে তদন্তকারী দলের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই তদন্তকারী দলের ট্র্যাক রেকর্ড দারুণ। ধর্ষিতার অভিযোগকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্ত করে দেখছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেব।' সাংবাদিক সম্মেলনের সময় কমিশনারের পাশেই বসেছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। তবে তিনি একটিও কথা বলেননি। 

ওই যুবতী পুলিশ জানান, মার্চ মাসে নেহরুনগর এলাকা থেকে মুখোশধারী চারজন তাঁকে একটি SUV-তে তুলে নেয়। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় ও তার ভিডিয়ো রেকর্ড করে নেওয়া হয়। গত ২৭ জুন ফের তাঁকে ওই একই SUV-তে তুলে শ্লীলতাহানি করে আগের তিন অভিযুক্ত। মেয়েটির বয়ফ্রেন্ডের কথাতেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করে অভিযুক্তরা। পুলিশ এই ঘটনায় মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড ও দুই মহিলা-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।