বিমানবন্দরে যাত্রীদের ঝক্কি কমাতে থ্রিডি স্ক্যানার এ দেশেও


বিমানে ওঠার আগে হাতব্যাগ স্ক্যান করানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু, এত দিন সেই হাতব্যাগ স্ক্যানারে দেওয়ার আগে যাত্রীকে ল্যাপটপ, ক্যামেরা, মোবাইল চার্জার, ট্যাবলেট— এ সব বার করে আলাদা আলাদা ভাবে জমা দিতে হত। খুব শীঘ্রই সেই ঝক্কি কমবে। নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই সব সামগ্রী সমেতই স্ক্যানারে দেওয়া যাবে হাতব্যাগ।

বিদেশের বেশ কিছু ব্যস্ত বিমানবন্দরে এমন প্রযুক্তিওয়ালা স্ক্যানার বসানো হয়েছে, যাতে থ্রি-ডি পদ্ধতিতে ব্যাগের ভিতরের জিনিসপত্র স্ক্যান করা যায়। জিনিসপত্র বার করতে হয় না। ব্যাগের ভিতরে রাখা অবস্থাতেই প্রতিটি জিনিসের থ্রি-ডি ছবি ধরা পড়বে। এ বার সেই বিশেষ প্রযুক্তিওয়ালা স্ক্যানারই বসতে চলেছে ভারতের বেশ কয়েকটি বড় এবং ব্যস্ত বিমানবন্দরে। ফলে সিকিউরিটি চেক ইন-এর সময়ে যাত্রীদের ঝঞ্ঝাট কিছুটা কমবে।

দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)। তারা বিদেশে গিয়ে ওই প্রযুক্তিসম্পন্ন স্ক্যানার দেখে এসেছে। এখানকার ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলিতে প্রাথমিক ভাবে ওই যন্ত্র পরীক্ষামূলক ভাবে বসানো হবে। সফল হলে ওই স্ক্যানার বসানো হবে দেশের বড় এবং ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলিতে।

আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে ওই পদ্ধতিতে স্ক্যান করা হচ্ছে নিউইয়র্কের জেএফকে, লন্ডনের হিথরো, আমস্টারডামের স্কিফল বিমানবন্দরে। সিআইএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা ওই সব বিমানবন্দরে নয়া প্রযুক্তিতে কী ভাবে কাজ হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করেছে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

গত পাঁচ বছরে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে ৬৫ শতাংশ যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে বলে অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। দিনের ব্যস্ত সময়ে অনেক বিমানবন্দরেই এই সিকিউরিটি চেক ইনের এই নিয়মের জন্য অনেকটা সময় নষ্ট হয়। নয়া প্রযুক্তি এলে সেই সময় অনেকটাই কমবে বলে সিআইএসএফ-এর দাবি।