ভারতীয়দের কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনতে নারাজ অর্থমন্ত্রক


কালো টাকা নিয়ে দেশে হাজারও কৌতূহল। কালো টাকা রুখতেই নোট বাতিলের মতো পদক্ষেপ। অথচ সেই কালো টাকা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতেই নারাজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।

২০১১'য় ইউপিএ সরকার দিল্লির 'ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি'-সহ তিন সংস্থাকে কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ দিয়েছিল। দেশে এবং বিদেশে কত কালো টাকা রয়েছে ভারতীয়দের, সেই তথ্যই সংগৃহীত হয়েছে। তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট পেশ করাও হয়েছে অর্থমন্ত্রকের কাছে। প্রাপ্ত মোট তিনটি রিপোর্ট সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনেও পেশ করা হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে সরকার পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অর্থাৎ দেশে ও বিদেশে কত কালো টাকা রয়েছে তা সরকারের কাছে স্পষ্ট। কিন্তু সে তথ্য বাইরে আনতে নারাজ মন্ত্রক। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর এক সাংবাদিক তথ্য জানার আইনের আওতায় এই তথ্য জানতে চান। কিন্তু মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না। তাতে সংসদের স্বাধিকার ভঙ্গ হবে। তাছাড়া কালো টাকা নিয়ে এই মুহূর্তে বিপুল কৌতূহল আছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেই কারণেও কোনওরকম তথ্য এখনই সামনে আনতে চাইছে না মন্ত্রক। তাদের দাবি, যে তথ্য জমা পড়েছে তা অনেক অসমর্থিত সূত্র থেকেও নেওয়া হয়েছে। ফলে তা দেশের ভিতরে ও বাইরে থাকা কালো টাকার সঠিক পরিমাণের হদিশ দেয় না। সে কারণেও এই তথ্য এখনই প্রকাশ করতে রাজি নয় মন্ত্রক। আরটিআই আইনেরই বিশেষ ধারা উল্লেখ করে এই তথ্য প্রকাশে বাধা দেওয়া হয়েছে। তথ্য জানার অধিকার থাকলেও যা সংসদ বা দেশের স্বাধিকার ভঙ্গ করে তা প্রকাশ না করার এক্তিয়ার আছে সরকারের। সেভাবেই এই তথ্য প্রকাশ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। দেশে-বিদেশে ভারতীয়দের কালো টাকার পরিমাণ ঠিক কত তার সঠিক তথ্য এখনও নেই সরকারের হাতে, বলেই দাবি। বিভিন্ন সংস্থার তরফে তা সমীক্ষা করে অনুমান করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও অফিসিয়ালি কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।  

Highlights
কালো টাকা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতেই নারাজ হল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
ইউপিএ সরকারের আমলে শুরু হয়েছিল কাজ।