সরকারিকর্মীরা আর পেনশন-পিএফ পাবেন না! পরিবর্তনের সরকারের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত


তিন দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে পরিবর্তনের সরকারের পত্তন হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিবর্তনের সরকার আসার পরও সরকারি কর্মীদের প্রতি বঞ্চনার শেষ নেই। নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও পিএফ বাতিল করার। ত্রিপুরায় বিজেপির বিপ্লব দেব সরকারের সিদ্ধান্ত, নতুন নিয়োগ হওয়া কর্মীদের পেনশনও দেওয়া হবে না, পিএফের সুবিধাও মিলবে না তাঁদের।

গত সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এখন থেকে যে সমস্ত কর্মী নিয়োগ হবে, তাদের না থাকবে পেনশন, না থাকবে প্রভিডেন্ট ফান্ড। ১ জুলাই থেকে যাঁরা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম লাগু হবে। তবে পেনশনের পরিবর্তে কন্ট্রিবিউটরি পেনশন স্কিমের মাধ্যমে এককালীন একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে।

৩০ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে এবূারই ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের সূচনা হয়। এই নতুন সরকারের কাছে সরকারি কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের প্রাপ্তির আশা প্রচুর। অথচ বাম সরকারের পথে হেঁটেই সরকারি কর্মীদের উপর কোপ ফেলল বিজেপি সরকার। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব একটা সময়ে ত্রিপুরার বাম সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীদের বেতন ইস্যুতে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন। এখন সেই বিপ্লব দেবই বাম সরকারকে এ ব্যাপার পথ প্রদর্শক করছেন।

এ বিষয়ে সরকারের সাফাই, এই নয়া নিয়ম লাগু হলে সরকারি কর্মীদের পিছনে বরাদ্দ অনেক কমানো যাবে। একটি হিসেবে তুলবে ধরে বলা হয়, ২০০৬-০৭ সালে পেনশন খাতে খরচ হল ২৩৭ কোটি টাকা। ১০ বথর পর ২০১৬-১৭ আর্থি বর্ষে তা দাঁড়িয়েছে ১৬০০ কোটি টাকা। রাজ্যের মানুষের কথা ভেবে এই বিরটা অঙ্কের খরচ বহন করতে অপারগ সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী সিপিএম, তৃণমূল ও কংগ্রেস। বিরোধীদের দাবি, ত্রিপুরার বিপুল কর্মসংস্থান ও বেতনবৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল সরকার। এখন সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে প্রতারণা করছে সরকার।