মাদ্রাসায় মৌলবির বিকৃত লালসার শিকার পড়ুয়ারা, উদ্ধার ৩৬ নাবালিকা


ফের যৌন নির্যাতনের ঘটনা মাদ্রাসায়। মৌলবির বিকৃত লালসার শিকার ৩৬ নাবালিকা। পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়েছে ওই নাবালিকা পড়ুয়াদের। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত মৌলবিকে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের নিরাপত্তা।

ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণে শহরের কাটরাজ এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৬ জন নাবালিকা পড়ুয়াকে। ওই মাদ্রাসায় ৫ থেকে ১৪ বছরের পড়ুয়াদের পাঠদান করা হয়। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই পড়ুয়াদের উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলানা সাবের ফারুকি। একাধিক নাবালিকা পড়ুয়াকে ধর্ষণও করেছে সে। বিষয়টি প্রথম সামনে আসে জানুয়ারি মাসে। এক পড়ুয়ার অভিভাবক অভিযোগ জানান, মাদ্রাসায় ধর্ষণ করা হয়েছে তাঁর নাবালিকা কন্যাকে। ওই মাসেই পুলিশের দ্বারস্থ হন আরও এক অভিভাবক। তারপরই তৎপর হয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত মৌলানাকে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় ৩৬ জন নাবালিকা পড়ুয়াকে।

মহারাষ্ট্রের মাদ্রাসাগুলিতে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। এরা আগে নানদের এলাকার একটি মাদ্রাসায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশে লখনউ শহরের এমনই এক ঘটনা ঘটে। একটি মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ৫১ জন ছাত্রীকে। তাদের উপর যৌন নির্যাতন চালাত ওই মাদ্রাসার প্রধান। দিনের পর দিন নিগ্রহ সহ্য করতে হত ওই পড়ুয়াদের। যৌন অত্যাচার তো চলতই, বেধড়ক মারধরও করা হতো। জোর করে এভাবেই মাদ্রাসায় আটকে রাখা হতো তাদের। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে ধর্মের নাম উন্মাদনা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে একাধিক মাদ্রাসার বিরুদ্ধে। এবার একের পর এক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় মাদ্রাসাগুলিতে নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে ফের উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।


Highlights

মৌলবির বিকৃত লালসার শিকার ৩৬ নাবালিকা।

পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়েছে ওই নাবালিকা পড়ুয়াদের।