‘সুন্দরী-অবিবাহিত ২০ মহিলাকে ঠান্ডা মাথায় দাঁড় করিয়ে গুলি করা হয়’


ঢাকা:  রোহিঙ্গা মহিলাদের মায়ানমার সেনার নৃশংস অত্যাচারের কথা তুলে ধরলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। যার নাম ফতিমা। নিজের চোখের নিজের পরিবার-স্বামীর মৃত্যু দেখেছেন। মায়ানমার সেনার অকথ্য অত্যাচারে মৃত্যু হয় ফতিমার পরিবার এবং স্বামীর। শুধু তাই নয়, অল্প-বয়সী একাধিক মহিলার সঙ্গে মায়ানমার সেনা যেভাবে অত্যাচার করছে তা এখনও মাঝে মধ্যে ভেসে আসে ফতিমার চোখের সামনে।

ইংলিশ এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে ফতিমা জানিয়েছে, কীভাবে মায়ানমার সেনাবাহিনী তাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে।

প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের উপর হামলা করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। কার্যত নিধনযজ্ঞ চালায় মায়ানমার সেনাবাহিনী। শেষমেশ রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা। ফাতিমা সেই পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরই একজন। ফাতিমা জানিয়েছেন, তার স্বামীকে গুলি করে হত্যার পর ধারালো ছুরিতে গলা কেটে মরদেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এক শিশুকে হত্যার পর পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। ফাতিমা আরও জানিয়েছেন, মায়ানমার সেনাবাহিনীর কবল থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করা সুশ্রী ও অবিবাহিত অন্তত ২০জন কম বয়সী নারীকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে দেখেছেন তিনি।

ওই নারীদের সম্পর্কে ফাতিমা জানান, 'সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে মারা হয় তাদের'। বলেন, তিনি মায়ানমার সেনাবাহিনীর এইসব ভয়াবহ নৃশংসতার কথা প্রকাশ্যে আনতে চান।