সরকারি দপ্তরে খরচ কমাতে একগুচ্ছ নির্দেশ রাজ্যের

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ব্যয় সংকোচের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য তিনি মুখ্যসচিব মলয় দে-কে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই নির্দেশমতো গতকাল রাজ্য সরকারি দপ্তরের দৈনন্দিন খরচে লাগাম টানতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছেন তিনি। বিভিন্ন দপ্তর কীভাবে তাদের বাড়তি ব্যয় ছেঁটে ফেলবে সেব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

যেমন- সরকারি কনফারেন্স বা সেমিনারের জন্য হোটেল বা বেসরকারি হলের পরিবর্তে সরকারি হল বা স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে হবে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে যথাসম্ভব সাদামাটাভাবে। সরকারি অনুষ্ঠানে অতিথিদের বহুমূল্য উপহার বা বিরাট খাওয়াদাওয়ার প্রথা যথাসম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। এমনকী সব অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানোর প্রথাতেও দাঁড়ি টানতে চাইছে নবান্ন। সরকারি আধিকারিকদের বিদেশ সফর এমনকী প্রয়োজন ছাড়া দিল্লি যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে আধিকারিকরা এধরনের সফর করতে পারবেন। কথায় কথায় জেলা থেকে আঞ্চলিক বা রাজ্য সদর দপ্তরে এসে আধিকারিকদের বৈঠক করার প্রবণতাও এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব বৈঠক আয়োজন করে খরচে লাগাম টানার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এয়ারকন্ডিশন লাগানো, নতুন গাড়ি কেনা বা তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে।

সরকারি দপ্তরের ব্যয়সংকোচ, পদ পুনর্বিন্যাস সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার নবান্নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবদের বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এবিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।