ফেসবুকে লাইভ আত্মহত্যা, ২৭৫০ দর্শকের কেউ খবর দিলেন না পুলিশে


মুন্না কুমার।

পাঁচ বারের চেষ্টাতেও ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে না পারায় দুঃখ। সেখান থেকে আত্মহত্যা ও ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার তরতাজা তরুণের। আগ্রা শহর থেকে এই ঘটনা সরাসরি চাক্ষুষ করলেন সারা দেশের ২৭৫০ জন ফেসবুক ইউজার। যদিও সেই মৃত্যু আটকাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। সরাসরি মৃত্যু ঘটতে দেখেও পুলিশে জানানো কিংবা আত্মহত্যাকারীর পরিবারকে সতর্ক করার প্রয়োজনটুকুও বোধ করেননি কেউ।

প্রশ্ন উঠছে, সোশ্যাল মিডিয়া  কি শুধুই দেখা আর দেখানোর বিনোদনে বন্দি করে ফেলছে নিজেকে?

জানা গিয়েছে, আগ্রা শহরেই থাকতেন বিজ্ঞানে স্নাতক ২৪ বছর বয়সী মুন্না কুমার। বুধবার সকালে তিনি এক মিনিট নয় সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানেই তিনি তাঁর আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্য জানান। এরপরই তিনি 'লাইভ' আত্মহত্যা করেন।  তা সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ফেসবুকে।

ফেসবুকে লাইভ আত্মহত্যার ঘটনা আগেও হয়েছে। নিজের জীবনের হতাশা, দুঃখ মেটাতে তাঁরা বেছে নিচ্ছেন ফেসবুক সমাজকেই। এক সঙ্গে অনেক মানুষকে নিজের জীবনের শেষ কথা বলতে পারছেন তাঁরা। হয়তো এই মানসিকতা থেকেই আত্মহত্যা দেখানোর জন্য তাঁদের হাতিয়ার হয়ে উঠছে ফেসবুক। কিন্তু এই সমাজ শুধু দেখে, হয়তো উপভোগও করে। চিন্তাটা সে কারণেই।

শুধু আগ্রা নয়, এই সোমবারই রাজস্থানে আরেকটি ঘটনা সমাজের অসহায় অবস্থা প্রকাশ্যে আনে। ২৫-৩০ বছরের তিন যুবক পথ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আধঘণ্টা পড়ে ছিলেন।

পথচারিরা সেখানে ব্যস্ত ছিলেন সেলফি আর ভিডিও তুলতে। তিনজনই মারা যান। পরে পুলিশ জানায়, কেউ একটু পাশে দাঁড়ালে হয়তো দুটি প্রাণ বাঁচতে পারত।

বাস্তব এভাবেই ধীরে ধীরে সমাজের উপভোগ্য হয়ে উঠছে। সবকিছুই হয়ে উঠছে বিনোদন, দেখার জিনিস। কমছে রিল আর রিয়েলের ফারাক।