'ছেলেধরা'- এই আতঙ্কে মরছে বাংলাও, এবার জলপাইগুড়িতে ৪ মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণপিটুনি


ছেলেধরা আতঙ্কে বাংলাও। দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও গণপিটুনির খবর আসছে। গুজবের মাত্রা এতটাই চড়েছে কোনও বাছ-বিচার চলছে না। সন্দেহ হলেই প্রথমেই বেমাক্কা মারধর। পুরুষ হোক বা মহিলা- কারোর ছাড় নেই এই মারের হাত থেকে। 


সোমবারও ছেলেধরা সন্দেহে জলপাইগুড়িতে এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটল। ৪ মহিলাকে বিবস্ত্র করে পেটাল জনসাধারণ। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ডাউকিমারির এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির ডাউকিমারিতে মোট দুটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। এই দুই ঘটনাতেই মোট চার মহিলা গণরোষের শিকার হন।

ডাউকিমারি বাজার এলাকায় দুই মহিলাকে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। আটক করে চলে জেরা। ঠিকমত উত্তর দিতে না পারায় উত্তেজিত জনতা মারধর শুরু করে। মারধরের মাত্রা এতটাই চরমে ওঠে যে দুই মহিলার পরনের কাপড় খুলে নেওয়া হয়। এতেও ক্ষান্ত হয়নি জনতা। উন্মত্ত পাগলের মতো মারধর করতে শুরু করে।

ধূপগুড়িতে দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ডাউকিমারিতে। সেখানেও দুই মহিলাকে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা আটক করে। এরপর তাদের স্থানীয় ক্লাবে বন্দি বানিয়ে চলে শারীরিক নিগ্রহ। এখানেও দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে। দুই ঘটনাতেই আক্রান্ত মহিলাদের উদ্ধার করতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। অনেক কষ্টে স্থানীয় মানুষদের বুঝিয়ে আটক মহিলাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এমনকী প্রথমে লাঠিচার্জও করতে হয়। পরে হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চার জন মহিলায় মাথায়-মুখে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে চোট রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর ডাউকিমারি বাজার এলাকায় প্রহৃত দুই মহিলার বাড়ি ধূপগুড়ি হাসপাতাল পাড়ায়। অন্য দুই মহিলাদের মধ্যে একজনের বাড়ি ধূপগুড়ি স্টেশন মোড় এলাকায় এবং শিলিগুড়ি কোর্ট মোড় এলাকায়। এরা ধূপগুড়িতে কী করতে গিয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।