‘পেট্রল বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে ঘিরে ফেলে পাঁচশো জন’


শ্রীনগর : পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছিল৷ তাই গুলি ছোঁড়া ছাড়া উপায় ছিল না৷ রবিবার বিবৃতি দিয়ে জানাল ভারতীয় সেনা৷ দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে শনিবার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সেনাবাহিনী। তখনই তাদের ওপরে পাথর নিয়ে হামলা চালায় প্রায় পাঁচশো জন।

সেনা জানায়, প্রায় ৫০০ লোক ঘিরে ফেলে৷ লাগাতার উড়ে আসে পাথর। এই পরিস্থিতিতে গুলি না চালালে জওয়ানদের মরতে হত৷ রবিবারের বিবৃতিতে সেনা জানায় প্রাণহানি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ঘটনা। সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর নিয়ে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছিল। প্রায় ৫০০ জন উত্তেজিত লোক জওয়ানদের কাছাকাছি চলে এসেছিল।

তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। পেট্রল বোমাও ছুঁড়েছিল পাথরবাজরা। এমনকী ভিড়ের মধ্যে লুকিয়ে গুলি করেছে জঙ্গিরা। এতে বেশ কয়েকজন জওয়ান জখম হন। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে আপাতত বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

কাশ্মীরে ৩ পাথরবাজের মৃত্যুর পর সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে অনেকে। রবিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুলগামে সেনার নজরদারি দলের ওপরে হামলা চালিয়েছিল প্রায় ৫০০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় জওয়ানরা।

শনিবার সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ পাথরবাজের। প্রাণ হারায় ২২ বছরের শাকির আহমেদ, ২০ বছরের ইরশাদ মজিদ ও নাবালক অন্দলিব।

কাশ্মীরে আপাতত বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসবাদী বুরহান ওয়ানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপত্যকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করেছে সেনা।

স্থানীয়রা জানায়, দক্ষিণ কাশ্মীরে কুলগামের হাউরা ও মিশাপুর গ্রামে বেশ কিছু যুবককে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসীরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে৷ তার জেরে নিরাপত্তা বাহিনী বাধ্য হয় গুলি ছুঁড়তে৷ এই ঘটনায় পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হন৷

শনিবারই এ দিনই উপত্যকায় বনধের ডাক দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা৷ গতকাল এনআইএ আদালত বিচ্ছন্নতাবাদী নেত্রী আসিয়া আন্দরাবিকে হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দেয়৷ তার প্রতিবাদে এই বনধ৷ জানা গিয়েছে, রবিবারও বনধ জারি থাকবে উপত্যকায়৷ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে৷ ওয়ানির জন্মস্থান ত্রালে কারফু জারি করা হয়েছে৷