অনূর্ধ্ব ১২ শিশু-ধর্ষণে ফাঁসি, বিল পাস লোকসভায়


১২ বছরের নীচে শিশু-ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত বিল পাস হল লোকসভায়। সোমবার বিলটি পেশ করা হলে, তাতে সমর্থন করে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল। ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে সহজেই নিম্নকক্ষে পাস হয়ে যায় বিলটি। যদিও বিরোধীদের কয়েকজন এই বিলে আরও সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, তা খারিজ হয়ে যায়।

১২ বছরের কম বয়সী শিশুকে ধর্ষণ করলে ধর্ষকের নূন্যতম ২০ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা দেওয়ার জন্য বিশেষ অর্ডিন্যান্স পাস হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। গত এপ্রিলে পাস হওয়া এই অর্ডিন্যান্সে সাজা বাড়ানোর পাশাপাশি ধর্ষণ মামলার তদন্ত এবং বিচারের ক্ষেত্রে সময়সীমাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। পাস হওয়া অর্ডিন্যান্সটি ৬ মাসের মধ্যে সংসদে বিল আকারে পেশ করতে হতো। সেই মতো এ দিন লোকসভায় পেশ করা হয় বিলটি।

এ দিন ভোটাভুটির আগে বিলটি নিয়ে প্রায় দু ঘণ্টা ধরে বিতর্ক চলে লোকসভায়। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, শিশুকন্যা ও বালিকাদের সুরক্ষার্থে একটা কঠোর আইনের প্রয়োজন। তিনি দাবি করেন, ভারতীয় দণ্ডবিধিতে মহিলা-ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির কথা বলা হলেও, ১২-১৬ বছরের কম বয়সীদের ধর্ষণ ও গণধর্ষণে দোষীদের কঠোর সাজার কথা বলা নেই। রিজিজু জানান, সম্প্রতি শিশুদের উপর নারকীয় অত্যাচারের একাধিক ঘটনা দেশের ভাবাবেগে চরম আঘাত করেছে। যার ফলে, ১২-১৬ বয়সীদের উপর ধর্ষণে দোষীদের চরম শাস্তি দেওয়াটা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া ও উত্তরপ্রদেশের উন্নাওকাণ্ডের পর, দেশজুড়ে বাড়তে থাকা ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কাঠুয়ায়  নৃশংস ঘটনার ফলে শিশু-ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে তড়িঘড়ি অপরাধমূলক আইন (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল কেন্দ্র।