ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে পাঁচ মাসের ভ্রুণ সঙ্গে নিয়ে থানায় নির্যাতিতা


মুড়ি মুড়কির মতো ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে গোটা দেশে। তাই বলে এমনটাও দেখতে হবে ভাবেননি পুলিশকর্মীরা। ধর্ষকের ঔরসজাত ভ্রুণ ব্যাগে ভরে থানায় অভিযোগ জানাতে এলেন নির্যাতিতা। চমকে দেওয়া ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আমরোহা থানার।

অভিযোগ, মাস ছয়েক আগেই ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। অভিযুক্ত স্থানীয় যুবক। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণী দু'জনের মধ্যেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর আমরোহাতেই থাকেন। আচমকাই একদিন গল্প করার জন্য ডেকে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে প্রেমিক, এমনটাই অভিযোগ। এরপর ওই তরুণী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। সন্তানসম্ভবা প্রেমিকাকে বিয়ে করতে হবে, বুঝতে পেরে পালটা চাল চালে প্রেমিক। মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে, পাঁচ মাসের মাথায় জোর করে গর্ভপাত  করানো হয় নির্যাতিতার। এতদিন প্রেমের দোহাই দিয়ে চুপ করে থাকলেও এবার সেই নিষ্প্রাণ ভ্রুণ নিয়েই ধর্ষক প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় যান নির্যাতিতা। ধর্ষণ ও জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বছর ভর ৪০ হাজারেরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ভারতে। মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠলেও পরিস্থিতির যে কোনওরকম হেরফের হয় না, তার অন্যতম প্রমাণ বেড়ে চলা ধর্ষণের সংখ্যা। শনিবারই সাত মাস ধরে কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশেরই মুজাফ্ফরনগরে। অভিযোগ, নির্যাতিতা কিশোরী যাতে নারকীয় অত্যাচার নিয়ে মুখ না খুলতে পারে, সেজন্য হুমকিও দিত অভিযুক্ত। মুখ খুললে ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হবে। এই ভয় দেখিয়েই দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত।এমনকি  নির্যাতিতার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই নির্যাতিতার পরিবার পকসো আইনের আওতায় মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Highlights

বিয়ে এড়াতেই নির্যাতিতাকে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ায় অভিযুক্ত।

জোর করে গর্ভপাতও করানো হয় তাঁর।