চাষির শ্রীবৃদ্ধিতে ভরসা গোবর, গোমূত্র আর পিঁপড়ের বাসা!


চাষির আয় ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করবেন বলে পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার নীতি আয়োগের সাংবাদিক বৈঠকের নির্যাস, তার জন্য দাওয়াইও হাতের কাছেই মজুত। গোবর, গোমূত্র, গুড়, পিঁপড়ের বাসা আর ডালের গুঁড়ো!

এ দিন বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন কৃষিবিদ সুভাষ পালেকর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, তিনি বলেছেন, ওই সমস্ত কিছুর মিশ্রণ পচিয়ে জমিতে দিলেই কেল্লাফতে। রাসায়নিক সার, কীটনাশক আর লাগবে না। জলসেচও প্রয়োজন হবে যৎসামান্য। চাষের খরচ নামবে প্রায় শূন্যে। দেশীয় বীজেই ফলন হবে হাইব্রিড বীজের থেকে বেশি। আর এই দাওয়াই নাকি মনে ধরেছে নীতি আয়োগেরও। যে কারণে পরাম্পরাগত চাষে ফেরার কথা এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেছে তারা।

জমি, চাষ বা পরিবেশের পক্ষে জৈব সার যে ভাল ও সহায়ক, তা নিয়ে একমত প্রায় সকলেই। পালেকরের দাবি, ''রাসায়নিক লাগে না। প্রাকৃতিক ভাবে নিজের মতো করে পরিবেশ ও জমি অনুসারে নিজেকে মানিয়ে নেবে ফসলই।'' আয়োগেরও দাবি, পরম্পরাগত এই পদ্ধতিতে লাভ হয়েছে অন্তত ৫০ লক্ষ কৃষকের। বিশেষত অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে।


কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, শুধু এই ওষুধে কৃষির যাবতীয় রোগ সারবে? সত্যিই কি এ ভাবে শূন্যে নামানো যায় চাষের খরচ? বিরোধীদের কটাক্ষ, শুধু গোমূত্রেই উবে যাবে সেচের প্রয়োজন? তাঁদের জিজ্ঞাসা, এর ভরসায় চাষির আয় দ্বিগুণ করার কথা বলছেন মোদী?

মন্দসৌর থেকে কৃষক বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল সারা দেশে। কৃষক আত্মহত্যার দরুন ঋণ মকুবের দাবিতে দিল্লিতে ধর্নার ছবি এখনও টাটকা। মধ্যরাতে চাষিদের মুম্বই দখলও সাড়া ফেলেছিল। ক্ষুব্ধ চাষিদের মন পেতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির ঢাক পেটাতে হচ্ছে মোদী সরকারকে। তাই জৈব সারের ওষুধ চাষিদের তেতো লাগবে না তো? এই অস্ত্রে ভোট-জমি চষতেও তৈরি হচ্ছেন বিরোধীরা।