জটিল উনিশের অঙ্ক, ৩৫ শতাংশ মুসলিম ভোটের আশায় বিজেপি


আগামী লোকসভা ভোটে সংখ্যালঘুরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের পথই বেছে নেবেন৷ বিরোধীরা যে ঘৃণা এবং ভয়ের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে তা আর গ্রহণ করবেন না এদেশের মুসলিম সমাজ৷ রবিবার এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি৷

২০১৯ যত এগিয়ে আসছে তত বাড়ছে ভোট রাজনীতির অংক কষা৷ আর সম্প্রতি দেশজুড়ে যে উপনির্বাচনগুলি হয়েছে তাঁর ফল মোটেই সুখকর নয় বিজেপির জন্য৷ তাই এবার শুধু হিন্দুত্ব নয়, সংখ্যালঘুদের ভোটকেও চোখের মণি করছে বিজেপি৷ আর ১৯'-এ বিজেপির লক্ষ্য অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মুসলিম ভোট৷ মূলত মুসলিম মহিলাদের ভোটকে টার্গেট করা হচ্ছে৷ তাছাড়া কয়েকটি মুসলিম সংগঠনের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক বিজেপির৷ সুত্রের খবর, জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য আরও সক্রিয় করা হচ্ছে আরএসএসের মুসলিম সংগঠনকেও৷ মুখতার আব্বাস নাকভি রবিবার বলেন, "গত চারবছরে দেশে বড় কোনও সাম্প্রদিয়ক হানাহানি ঘটেনি৷ এটা আমাদের সাফল্য যে গোটা দেশে শান্তি এবং ভীতিহীন পরিবেশ বজায় আছে, সব সম্প্রদায়ের মধ্য সম্প্রীতি বজায় রাখতে পেরেছি আমরাই৷"

নাকভির দাবি, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে অন্তত এক তৃতীয়াংশ সংখ্যালঘুরা মোদিকেই ভোট দেবেন৷ তিনি বলেন, "আমার মনে হয় ২০১৯ নির্বাচনে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মুসলিম আমাদের ভোট দেবে৷ উন্নয়নের যে পথে ভারত চলছে সেই গতি আরও বাড়াতে চাইবে মুসলিমরাও৷" নাকভি আরও দাবি করেন, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আগের সরকার বর্তমান সরকারের চেয়ে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে৷ তিনি বলেন, "ইউপিএ আমলের ১০ বছরে অন্তত ৫৩০ জন মুসলিমকে বিনা অপরাধে জেলে পাঠানো হয়েছিল৷ সংখ্যালঘু উন্নয়নের নামে তোষণ ছাড়া কিছুই হয়নি৷" নকভির দাবি, সংখ্যালঘুরাও বুঝে গিয়েছেন, ভারতীয় রাজনীতিতে এখন বিজেপিই একমাত্র বিকল্প৷ নাকভির বক্তব্যে অবশ্য প্রশ্ন উঠছে বিজেপির ভিতরেই৷ অনেকে মনে করছেন, মুসলিম ভোটকে টার্গেট করতে গেলে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী ভাবমূর্তি ধাক্কা খেতে পারে, তাতে উগ্র হিন্দুদের সমর্থন খোয়াতে পারে শাসকদল৷