পুলিসের কাছে শিশু বিক্রির কথা স্বীকার করলেন মিশনারিজ অব চ্যারিটির সন্ন্যাসিনী


রাঁচি মিশনারিজ অব চ্যারিটির সন্ন্যাসিনীর বিরুদ্ধে শিশুবিক্রির তদন্তে নেমে বড়সড় সাফল্য় পেল ঝাড়খণ্ড পুলিস। সিস্টার কোনসিলিয়া নামে ওই সন্ন্যাসিনী স্বীকার করেছেন, বলে দাবি পুলিসের। স্বীকারোক্তিতে ওই সন্ন্যাসিনী জানিয়েছেন, ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হত এক একটি শিশু। একবার শিশু বিক্রি হয়েছিল ১.২০ লক্ষ টাকায়।


রাঁচি মিশনারিজ অব চ্যারিটির সন্ন্যাসিনীর বিরুদ্ধে শিশুবিক্রির তদন্তে নেমে বড়সড় সাফল্য় পেল ঝাড়খণ্ড পুলিস। সিস্টার কোনসিলিয়া নামে ওই সন্ন্যাসিনী স্বীকার করেছেন, বলে দাবি পুলিসের। স্বীকারোক্তিতে ওই সন্ন্যাসিনী জানিয়েছেন, ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হত এক একটি শিশু। একবার শিশু বিক্রি হয়েছিল ১.২০ লক্ষ টাকায়।

ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে সন্ন্যাসিনীর সেই লিখিত স্বীকারোক্তি। সঙ্গে প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যাচ্ছে সিস্টার কোনসিলিয়া নামে ওই সন্ন্যাসিনী বলছেন, 'শিশুবিক্রির কথা কেউ জানতেন না। তিনি ও করিশ্মা নামে এক মহিলার এই কথা জানা ছিল। এমনকী এব্যাপারে কিছু জানতেন না মিশনারিজ অব চ্যারিটি রাঁচির প্রধান সন্ন্যাসিনীও।'

শিশু বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন আরেক সন্ন্যাসিনীও। অনিমা ইন্দওয়ার নামে ওই সন্ন্যাসিনী জানিয়েছেন, ৫ বছর ধরে মিশনারিজ অব চ্যারিটির সঙ্গে যুক্ত তিনি। সিস্টার কোনসিলিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক শিশু বিক্রি করেছেন তিনি। মিশনারিজ অব চ্যারিটি থেকে শিশুবিক্রির অভিযোগের তদন্তে এক সন্ন্যাসিনী ও এক কর্মচারীকে ৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিস। 

স্বীকারোক্তিতে সিস্টার অনিমা নামে ওই সন্ন্যাসিনী জানিয়েছেন, মোট ৪টি শিশু বিক্রি করেছেন তাঁরা। চারটিই পুত্রসন্তান ছিল। ১.২০ লক্ষ টাকাতেও একটি শিশু বিক্রি করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে ২০ হাজার টাকা নিজের কাছে রেখে বাকি ১ লক্ষ টাকা সিস্টার কোনসিলিয়াকে তিনি দিয়ে দেন। 

যদিও সিস্টার কোনসিলিয়ার বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগ মানতে রাজি নন তাঁর আইনজীবী। সন্ন্যাসিনীর আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে চাপ দিয়ে বয়ান আদায় করেছে পুলিস।