মূর্তি নদী থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ক্রিকেটারের মৃতদেহ


জলপাইগুড়ি : অবশেষে উদ্ধার হল জলপাইগুড়ির ক্রিকেটার বাপ্পা সাহার মৃতদেহ। মূর্তি নদীরে থাকা সেতুর নিচ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাপ্পা ১০ জুলাই জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা আনন্দ সরকার, আনন্দের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার ও নিতাই নামে এক যুবকের সঙ্গে মূর্তি নদীতে গিয়েছিল। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার পর বাপ্পা মূর্তি নদীতে স্নান করতে নামে। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল। এরপর বাপ্পার কাকা মেটেলি থানায় আনন্দ সরকার, আনন্দের শ্যালক প্রতীক দাম ও গাড়ির চালক দেবাশিস দে-র বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। ১৪ জুলাই পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মেটেলি থানার পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করে।

তারপর জলপাইগুড়ি রেসকিউ টিম ও সিভিস ডিফেন্সের কর্মীরা বাপ্পার খোঁজে মূর্তি নদীতে তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু, খুঁজে পাওয়া যায়নি তাকে। এরপর কুনকি হাতির সাহায্যে তল্লাশি শুরু করা হয়। তাতেও লাভ হয়নি। আজ একটু জল কমায় ফের মূর্তি নদীতে তল্লাশি শুরু করে জলপাইগুড়ি রেসকিউ টিমের ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীরা। তখন সেতুর নিচে বাপ্পার মৃতদেহ আটকে থাকতে দেখেন। এরপর দড়ি দিয়ে সেটিকে টেনে পাড়ে তোলা হয়। বেশ কয়েকদিন জলে থাকার ফলে তার মৃতদেহ ফুলে গেছে। 

জলপাইগুড়ি রেসকিউ টিমের ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট ট্রেনার স্বরূপ মণ্ডল বলেন, "বাপ্পাকে খোঁজার কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। আমরা আজ মূর্তি নদীর নিচ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছি।" ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।