বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় স্ত্রীর ‘গোপন’ তথ্য প্রকাশ করার দাবি শোভনের


বৈশাখীর সঙ্গে আদালতে শোভন। 

সোমবারও বিশেষ বন্ধু বৈশাখী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আদালতে এসে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় আদালতের কাছে দাবি জানালেন, তাঁর স্ত্রীর আয়ের উৎস ও খরচের ফিরিস্তি আদালতে পেশ করা হোক।

তার কারণ শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় তাঁর ছেলে মেয়ের পড়াশোনা ও দেখভালের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা শোভনের কাছে দাবি করেছেন। পাশাপাশি সূত্রের খবর, রত্না তাঁর মামলার খরচ চালাতে গিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছেন।

এখানেই আপত্তি তুলেছেন মেয়র। আদালতের কাছে তাঁর আইনজীবীদের প্রশ্ন, রত্নার এত টাকা খরচ করে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার ক্ষমতা কোথা থেকে এল? ১৫ লক্ষ টাকা যদি তিনি খরচই করতে পারেন, তাহলে ছেলেমেয়ের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা চাইছেন কেন? তাঁর আয়ের উৎস গোপন না রেখে প্রকাশ্যে আনা হোক। জানানো হোক আদালতকে।

আলিপুর আদালতের বিচারক রত্নাকে বলেছেন, ১২ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁর আয়ের উৎস ও খরচপত্রের সব নথি পেশ করতে। তার মানে রত্নার রোজগার কী, কত টাকা ব্যাঙ্কে রয়েছে, কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন, কত গয়না রয়েছে, কত টাকার বিমা করানো রয়েছে, কত নগদ হাতে রয়েছে— এরকমই সব তথ্য ও নথি আদালতকে জানাতে হবে।

১৮ জুলাই মেয়র সেই সব নথি ও তথ্য যাচাই করে দেখতে পারবেন। তার পরে ৩০ জুলাই মামলার শুনানি হবে।

কিন্তু রত্নার আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্তের দাবি মেয়র যে আয়ের উৎস নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলছেন, সেই উৎসের কথা শোভন চট্টোপাধ্যায় খুব ভাল করেই জানেন।

শুভাশিস বলেন, ''শোভনবাবুই বলেছিলেন আমার স্ত্রী আমার থেকে বেশি রোজগার করেন। তাহলে ওই রোজগারের উৎস তিনি নিশ্চয়ই জানেন।''

মেয়রের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছিলেন যে রত্না মূল মামলাটি এড়িয়ে যাচ্ছেন। নানারকম ফন্দি আঁটছেন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানি দেরিতে করার জন্য।

সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে রত্নার আইনজীবীরা দাবি করেন, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা বাবদ খরচের জন্য যে টাকা চাওয়া হয়েছে তা নিয়ে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই মামলার শুনানির পরেই বিবাহ বিচ্ছেদের মূল মামলা শোনা হবে।