মন্দসৌরের নির্যাতিতা নাবালিকার শরীরে ঢুকে থাকতে পারে HIV


ভোপাল: আট বছরের নির্যাতিতার শরীরে হয়ত ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে এইচআইভি ভাইরাস। মন্দসৌরের ঘটনায় এমনটাই আশঙ্কা করছে পুলিশ। তাই দ্রুত অভিযুক্তদের এইচআইভি টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই গণধর্ষণের ঘটনায় তৈরি করা হয়েছে বিশেষ তদন্ত কমিটি।

অন্যদিকে, মন্দসৌরে ধর্ষিতা আট বছরের ওই শিশুকন্যা ক্রমশ বিপন্মুক্ত হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শুধুই কাতরাচ্ছে সেই মেয়ে। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে তার। তবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে। তার জন্য বাইরের চিকিৎসকদের ডাকা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, শিশুটিকে এখন আধশক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে। অল্পস্বল্প কথাও বলতে পারছে সে।

অভিযোগ, গত মঙ্গলবার মিষ্টির লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে বছর কুড়ির ইরফান ও তার সঙ্গীরা। এর পর ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির গলা কেটে খুন করার চেষ্টা করে তারা। পরের দিন ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায় স্কুল থেকে ৭০০ মিটার দূরের একটি ঝোপে।

দিল্লির '‌নির্ভয়া'কাণ্ডের মতোই‌ সাধারণ মানুষ ধর্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। নির্যাতিতার বাবা বলছেন, 'কোনও ক্ষতিপূরণের প্রয়োজন নেই। আমার মেয়ে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এই কষ্টের একটাই সমাধান হয়। আর তা হল ফাঁসি।'

মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, ধর্ষকদের যাতে দ্রুত মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সম্ভব হয় তার জন্য পুলিশকে তৎপর হতে বলা হয়েছে। তার আগে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ধর্ষকদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই, তারা পৃথিবীর বোঝা। মন্দসৌরের ৮ বছরের শিশুকে স্কুলের বাইরে থেকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী।