দেশ জুড়ে বকরি ঈদ 22 অগাস্ট, দেখে নিন এই দিনটির গুরুত্ব

দিল্লিতে জামা মসজিদ ঘোষণা করেছে যে 22 আগস্ট বকরি ঈদ 2018 উদযাপন করা হবে। পবিত্র উৎসবের দিনে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি প্রশাসনিক অফিস বন্ধ থাকবে।

হাইলাইটস

22 অগাস্ট দেশ জুড়ে পালিত হবে বকরি ঈদ
নবী ইব্রাহিমের ত্যাগের কথা স্মরণে রেখেই এই উৎসব
মাটনের নানান রান্না এই দিনটির ঐতিহ্যবাহী অংশ


নিউ দিল্লি: 22 শে আগস্ট দেশ জুড়ে উদযাপন করা হবে বকরি ঈদ। সারা বিশ্বে ইসলামের অনুগামীদের দ্বারা উদযাপিত এই উৎসবটিকে ঈদ আল আধা নামেও অভিহিত করা হয় যার আক্ষরিক অর্থ "উৎসর্গের উৎসব"। এই উৎসব স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য ও ভক্তিমূলক আচরণের প্রমাণ দিতে গিয়ে নবী ইব্রাহিমের তাঁর নিজের পুত্রকে বলি দিতে চেয়েছিলেন। বিশ্বব্যাপী এই উত্সব উদযাপনের প্রতীক হিসেবে মুসলিমরা একটি ছাগল বলিদান দেন এই সময়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের মতে, উৎসবটি আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পড়ে, কিন্তু ইসলামিক চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, বকরি ঈদ আল-হিজার-এর শেষ মাসে উদযাপন করা হয়।

দিল্লিতে জামা মসজিদ সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে 22 আগস্ট বকরি ঈদ 2018 উদযাপন করা হবে। পবিত্র উৎসবের দিনে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি প্রশাসনিক অফিস বন্ধ থাকবে।

বকরি ঈদের তাৎপর্য
হিজরি ক্যালেন্ডার বা ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী,  ধুল হিজ্জাহ্র 10 বা 12 তম মাসের উদযাপিত হয় এই ঈদ। বকরি ঈদ আক্ষরিক অর্থে 'আত্মত্যাগের উৎসব' বলে বিবেচিত। ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিমূলক আচরণ হিসাবে নবী ইব্রাহিম তাঁর পুত্রকে উৎসর্গ করার ঘটনাকে মাথায় রেখেই পালিত হয় এই ঈদ। বিশ্বাস অনুযায়ী,  আল্লাহ্ তাঁর প্রতি ইমানের প্রমাণের জন্য আল্লাহ্অর বন্ধু ইব্রাহিমকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং তাঁর কাছে ইব্রাহিমের প্রিয়তম কিছু বলি দিতে অনুরোধ করেছিলেন। নবী ইব্রাহিম ঈশ্বরের আদেশ পূর্ণ করার জন্য তার 13 বছর বয়সী পুত্র ইসমাইলকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন।  ঈশ্বর নাকি দেবদূত পাঠিয়ে সন্তানের বলিদানে হস্তক্ষেপ করেন এবং পুত্রের জায়গায় একটি ছাগলছানা রেখে যান। তাই  মানুষ এই দিনটি পালন করে একটি পশুকে উৎসর্গ করে। সেই উতসর্গীকৃত মাংস তিনটি ভাগে ভাগও করা হয়।  এক অংশ আত্মীয়স্বজন, বন্ধু ও প্রতিবেশীদেরকে দেওয়া হয়,  দরিদ্র ও দুঃস্থদের দ্বিতীয় অংশ, এবং তৃতীয় অংশ নিজেদের জন্য।

বকরি ঈদের সময় একটি পুরুষ ছাগল উৎসর্গ করা হয়

ঈদ আল-আধা বা বকরি ঈদ, উদযাপন সাধারণত তিন দিন ধরে চলে। মুসলিমরা ইব্রাহিমের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং তার প্রতি ঈশ্বরের করুণা উদযাপন করার জন্য একটি পুরুষ ছাগল উৎসর্গ করেন। সারা বিশ্বজুড়েই মুসলিমরা মসজিদ পরিদর্শন করেন এবং শান্তি ও সমৃদ্ধি জন্য প্রার্থনা জানান। অনুষ্ঠানের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বিশেষ ভোজন ব্যবস্থা, যা প্রধানত মাটনের নানা সুস্বাদু প্রস্তুতি যেমন মাটন বিরিয়ানি, মাটন কোর্মা, মাটন কীমা, ভুনি কালেজি দ্বারা পরিবেশিত হয়। পাশাপাশি শীর খুরমা ও ক্ষীরের মতো মিষ্টিও থাকে এই খাদ্য তালিকায়।