আরব আমিরশাহির 700 কোটির সাহায্য সম্ভবত গ্রহণ করবে না কেন্দ্র


নিউ দিল্লি: স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেরালা। এই সময় রাজ্যের জন্য আর্থিক ও কারিগরী- দু'রকম সহায়তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন মঙ্গলবার ঘোষণা করেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এই বন্যাবিধ্বস্ত রাজ্যটিকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য 700 কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। যদিও, কেন্দ্র সম্ভবত সেই প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে না। "এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র কোনওরকম আর্থিক সহায়তা কেরালার জন্য নেয়নি অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে। তাই, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই প্রস্তাবও যে তারা গ্রহণ করবে না, তা আন্দাজ করাই যায়", এনডিটিভিকে বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যদিও, শেষমেশ এই সিদ্ধান্ত বিদেশমন্ত্রকই নেবে বলেও জানান তিনি। বিদেশমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে যে তারা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রস্তাব পায়নি।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা কেরালার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থসাহায্য পাঠাতে পারেন। তাতে কোনও সমস্যা নেই। ওই অর্থ যে করমুক্ত অর্থ হিসেবেও গ্রহণ করা হবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

"বৈদেশিক সাহায্য যদি এমন কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জন্য আসে, যারা আইনত ওই সাহায্য গ্রহণ করতে পারে, তাহলে সেই সাহায্য নিলে তার জন্য কর দিতে হবে না। কিন্তু, ওই সাহায্য গ্রহণ করার ব্যাপারে আইনি শিলমোহর নেই এমন কোনও সংস্থা যদি গ্রহণ করে তাহলে তা ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আয় হিসেবে ধরা হবে এবং তার ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণে কর চাপানো হবে", এনডিটিভিকে বলেন মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পাঠানো 700 কোটি টাকা গ্রহণ করলে তার ওপর কেন্দ্রের কর ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে কেরালার অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাক বলেন, "ওই অর্থের ওপর কর চাপানোর তো কোনও বিধান নেই"।

গত 8 অগস্ট থেকে শুরু হওয়া কেরালার এই বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। গৃহহীন কয়েকলক্ষ। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কুড়ি হাজার কোটি টাকার বেশি। রাজ্যটি সমস্ত রাজনৈতিক রীতি-নীতির ঊর্ধ্বে উঠে গিয়ে কীভাবে নিজেরদের লড়াইটুকু চালিয়ে আবার ফিরে পায় হারানো জায়গাটি, এখন সেটাই দেখার।