একবারই পাঞ্চ করুন ATM কার্ড, বলছেন সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ


কলকাতা : ATM-এ বার বার কার্ড পাঞ্চ করা একেবারেই ঠিক নয়। একবারে যদি টাকা না ওঠে তাহলে সেই ATM থেকে টাকা না তুলে, অন্য কোনও ATM থেকে টাকা তোলা উচিত বলে জানিয়েছেন সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়।

সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ATM জালিয়াতির বেশ কিছু ঘটনা। তথ্য হাতিয়ে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। এমনকী, তথ্য হাতিয়ে দিল্লির ATM থেকে তোলা হচ্ছে কলকাতার গ্রাহকদের টাকা। আর তাই ATM জালিয়াতির হাত থেকে গ্রাহকদের সতর্ক করতে বিভাসবাবু বলেন, "ATM থেকে টাকা তোলার সময় কার্ড পাঞ্চ করুন। প্রথমবার পাঞ্চ করার সঙ্গে সঙ্গে মেশিন যদি কার্ড না নেয় তাহলে সেই ATM থেকে আর টাকা তুলবেন না। প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের শাখা লাগোয়া ATM থেকে টাকা তুলুন। আর যেখানে নিরাপত্তারক্ষী থাকবে না, সেখান থেকে ভুলেও টাকা তুলবেন না। কারণ মেশিন যদি একবারে কার্ড না নেয় তাহলে তাতে কারচুপি করা রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।"

গত এক বছরে কলকাতার বিভিন্ন ATM থেকে একাধিক পদ্ধতিতে টাকা লুট হয়েছে। গ্রাহকরা সতর্কতা অবলম্বন করে টাকা তোলার পরও হ্যাকারদের টাকা লুট করে নিতে দেখা গেছে। এছাড়া ব্যাঙ্ককর্মী সেজে গ্রাহকদের ফোন করে ATM কার্ডের পিন নম্বর বা CVV কোড জানতে চেয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা প্রায় রোজকার বিষয়। এক্ষেত্রে সাইবার বিশেষজ্ঞ বলেন, "ATM কার্ডের পিন নম্বর ও CVV কোড কাউকেই বলা ঠিক নয়। ফোনে কেউ কোনও তথ্য জানতে চাইলে তাও বলা উচিত নয়। প্রয়োজনে নিকটবর্তী শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া, ATM ব্যবহার করতে অনভ্যস্ত হলে সরাসরি ব্যাঙ্ক থেকেই টাকা তুলুন। ATM-এ গিয়ে টাকা তোলার জন্য কারও থেকে সাহায্য চাইবেন না।"

এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, "যে থার্ড পার্টির মাধ্যমে ATM মেশিনে টাকা ভরা হয় তারা কতটা বিশ্বাসযোগ্য সে দিকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজর রাখা দরকার। আর গ্রাহকদের উচিত ATM-এ ঢুকে সবার আগে চারপাশ ভালো করে দেখে নেওয়া। CCTV আছে কি না তাও দেখুন। এছাড়া পিন নম্বর দেওয়ার আগে মেশিনের কিবোর্ড হাত দিয়ে একটু ঘষে নিন। সেখানে যদি কোনও কিছু লাগানো থাকে তাহলে সেটা উঠে যাবে। আর নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে এমন কোনও ATM থেকেই টাকা তুলুন। টাকা তোলার সময় কোনও সমস্যা হলে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।"

সাম্প্রতিক ATM জালিয়াতি সম্পর্কে বিভাসবাবু বলেন, "ATM জালিয়াতির সঙ্গে অনেকেই জড়িত। শহরের দুটি ATM থেকে টাকা লুট কোনও একজন করেনি। এত বড় জালিয়াতির পিছনে বড় চাঁই আছে।"